সরকারের ৭ বছরের অগ্রগতির তথ্য প্রচারের ব্যবস্থাকরণ প্রসঙ্গে
খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের (সিআরডব্লিউটি) শুরু থেকে এ পর্যন্ত কার্যক্রম সম্পর্কিত সংক্ষিপ্ত তথ্য পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলÑ
১. খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা : ১৯৮৩ সালে খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বিষয়ক অধ্যাদেশ জারির ২৬ বছর পর ৫ নভেম্বর ২০০৯ তারিখে বহু প্রত্যাশিত খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করা হয়। এটি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি সংস্থা, যা পরিচালনার জন্য ৭ সদস্যের একটি ট্রাস্টি বোর্ড রয়েছে। ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, ভাইস-চেয়ারম্যান সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট প্রমোদ মানকিন এমপি, ট্রাস্টিÑ হিউবার্ট গমেজ, রীনা দাস, জেমস সুব্রত হাজরা, উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার এবং ট্রাস্টি ও সচিব নির্মল রোজারিও।
২। তহবিল সংক্রান্ত : সরকার ২০১১ সালের জুলাই মাসে ট্রাস্টের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৫ কোটি টাকার এনডাওমেন্ট তহবিল ছাড়পূর্বক ট্রাস্টের নামে একটি স্থায়ী আমানত করেছে। স্থায়ী আমানতের সুদের টাকায় ট্রাস্টের পরিচালনা ব্যয় নির্বাহসহ বিভিন্ন চার্চের অনুকূলে অনুদান দেওয়া হয়। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ট্রাস্টের পরিচালনা ব্যয়ের জন্য ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে।
৩। অফিস স্থাপন ও কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত : নভেম্বর ২০১১ থেকে ট্রাস্টের জন্য ৮২নং তেজকুনীপাড়া, তেজগাঁও, ঢাকায় কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। অস্থায়ী ভিত্তিতে ৫ জন স্টাফ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ট্রাস্টি বোর্ডের সভায় ১১জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়াও ট্রাস্টের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য প্রবিধানমালা, নিয়োগবিধি, অর্গানোগ্রাম, সরঞ্জামদির তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে, যা বর্তমানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায়।
৪। অনুদান প্রদান : খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে এ পর্যন্ত ১৮৯টি চার্চকে ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা মেরামত, সংস্কার, নির্মাণ, মাটিভরাট, কবরস্থানের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য অনুদান হিসেবে দেওয়া হয়েছে।
৫। জাতীয় দিবস উদযাপন : খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ও বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে প্রতি বৎসর ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে তেজগাঁও হলি রোজারি চার্চে বিশেষ প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়। এ ছাড়াও বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহীদের স্মরণেও জাতির সুখ সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন হয়।