হিলারি ক্লিনটন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরবের চরমপন্থা বিষয়ে একমত, মন্তব্য নিউইয়র্ক টাইমসের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বব্যাপী মুসলিম সম্প্রদায়গুলোর প্রতি প্রথম মার্কিন কূটনৈতিক দূত ফারাহ প-িত বিশ্বের ৮০টি দেশ ভ্রমণ করে উপসংহার টেনেছেন, সৌদিদের প্রভাবেই ইসলামের সহনশীলতা ধ্বংস হচ্ছে। গত বছর ফারাহ প-িত এবং এক পত্রিকার কলাম লেখক সৌদি আরবকেই জিহাদি সহিংসতার জন্য দায়ী করেছেন।
এইচবিওতে বিল মাহের সৌদি আরবের শিক্ষাকে ‘মধ্যযুগীয়’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। ওয়াশিংটন পোস্টে ফরিদ জাকারিয়া লিখেছেন, সৌদিরা ইসলামী বিশ্বে একটি দানব সৃষ্টি করেছে।
সৌদি আরব সম্পর্কে এমন মন্তব্য করে যুক্তরাষ্ট্রের বহুল প্রচারিত দৈনিক নিয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, হিলারি ক্লিনটন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প হয়ত অনেক বিষয়েই একমত পোষণ করেন না। তবে সৌদি আরবের ক্ষেত্রে তারা একটু ব্যতিক্রমভাবেই একমত হয়েছেন। হিলারি সম্প্রতি দুনিয়াব্যাপী চরমপন্থী ইসলামী বিদ্যালয় ও মসজিদগুলোর প্রতি সৌদি আরবের সমর্থন ও আর্থিক সহায়তার বিষয়টি উল্লেখ করে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন। হিলারি বলেন, সৌদি আরবের মদদেই অসংখ্য তরুণ চরমপন্থার দিকে ঝুঁকে পড়েছে। হিলারি ক্লিনটন সৌদিদের বিশ্বের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসবাদের অর্থায়নকারী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, সৌদি আরবের অনমনীয়, গোঁড়া, পিতৃতান্ত্রিক ও মৌলবাদী ধারার ইসলাম ওয়াহাবিবাদই যে বিশ্বব্যাপী চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের জন্ম দিয়েছে এই ধারণা আজকাল একটি বহুল প্রচলিত ধারণায় পরিণত হয়েছে। আর ইরাক ও সিরিয়াভিত্তিক চরমপন্থী সংগঠন ইসলামিক স্টেট বা আইএস এর পশ্চিমা দেশগুলোতে সহিংসতা উসকে দেওয়ার প্রচেষ্টা এবং সন্ত্রাসী হামলা পরিচালনা বা উৎসাহিত করার পরিপ্রেক্ষিতে চরমপন্থী ইসলামের ওপর সৌদিদের প্রভাবের বিষয়টি নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছে। ব্রুকিং ইনস্টিটিউটের গবেষক উইলিয়াম ম্যাকক্যান্টস বলেন, ‘’চরমপন্থী ইসলামের জগতে সৌদিরা একই সঙ্গে ‘অগ্নিসংযোগ ও নির্বাপণকারী’।’’ তিনি বলেন, ‘’সৌদিরা ইসলামের একটি বিষাক্ত ধরনকে উসকে দিচ্ছে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ