৪৯ দিনে জম্মু-কাশ্মীরের লোকসান ৬৪০০ কোটি টাকা
শ্রেয়সী ঘোষ, কলকাতা থেকে: গত ৪৯ দিন ধরে চরমপন্থি নেতাদের ধর্মঘট এবং কার্ফ্যু মোতায়েন রাখার জন্য এখনও পর্যন্ত সেই রাজ্যে লোকসান হয়েছে ৬৪০০ কোটি টাকা। চরমপন্থিদের ধর্মঘট এবং বিরোধ প্রদর্শনের জন্য সীমান্ত এলাকার প্রচুর দোকান এবং ব্যবসাক্ষেত্র এমনকি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
গত ৪৯ দিন ধরে বন্ধ হয়ে আছে টুরিস্ট এবং অন্যান্য কারবার। দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগে গত জুলাই মাসে একটি লড়াইয়ে ভারতের নিরাপত্তারক্ষীরা হিজবুল জঙ্গি বুরহান বানিকে মেরে ফেলেছিল। এরপর থেকেই রাজ্যে শুরু হয়ে যায় বিরোধ প্রদর্শন। এখনও পর্যন্ত এ বিরোধকারী এবং নিরাপত্তারক্ষীদের লড়াইতে মারা গেছেন ৬৬ জন মানুষ। এবং আহত প্রায় হাজারের বেশি।
বানির মৃত্যুর পর হওয়া হিংসায় নাগরিকদের মারা যাওয়ায় চরমপন্থিরা রাজ্যে সম্পূর্ণভাবে ধর্মঘটের আহ্বান জানিয়েছে। এ ধর্মঘটের জেরেই বন্ধ হয়ে পড়ে আছে দোকান, বাজার, পেট্রোলপাম্প নিজস্ব সংস্থাগুলো। রাতে এ চরমপন্থিরা ছাড় দিলেও ব্যবসায়ীদের কোনো লাভ হচ্ছে না।
দক্ষিণ কাশ্মীরের ত্রালে শুক্রবার নিরাপত্তারক্ষীদের ঘেরাটোপে এক সন্ত্রাসবাদী আটকা পড়লেও স্থানীয় লোকদের সাহায্য সে পালিয়ে যায়। গ্রামের লোকদের পাথর বৃষ্টি এবং মিছিল দেখে নিরাপত্তারক্ষীরা ঘেরাটোপ ভেঙে দিতে বাধ্য হয়। সূত্রের খবর অনুযায়ী, দুপুরে ত্রালের উপরি এলাকায় ২-৩ জন সন্ত্রাসবাদী নিজের বাড়িতে দেখা করতে আসে। নিরাপত্তারক্ষীরা খবর পেয়ে তাদের সম্পূর্ণভাবে ঘিরে ফেলে। এ ঘেরাটোপে পুলিশ এবং সিআরপিএফের জওয়ানরা ছিলেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল এই সন্ত্রাসবাদীদের জীবন্ত নয়তো মৃত ধরা।
এরপরই গ্রামের লোকেরা নিজেদের বাড়ি থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন। স্থানীয় মসজিদেও ঘোষণা হতে থাকে। মুহূর্তেই স্বাধীনতাকামীরা সেøাগান দিতে শুরু করে। এবং তারাই নিরাপত্তারক্ষীদের উপর পাথর ছুড়ো। তারা পুলিশের ঘেরাটোপ ভাঙার চেষ্টা করে। পুলিশের তরফ থেকে কাঁদানে গ্যাস এবং লাঠিচার্জ শুরু করা হয়। কিন্তু বিক্ষোভ সামলাতে না পেরে নিরাপত্তারক্ষীরা নিজেদের ঘেরাটোপ ভাঙতে বাধ্য হন। এবং সন্ত্রাসবাদীরা পালাতে সক্ষম হয়। সম্পাদনা: রাশিদ রিয়াজ