সোহাগ শাকিল: গণহত্যার বিচার বিলম্বিত করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানায় সংগঠনটি। এসময় মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুরনো হাইকোর্ট ভবন থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে আইন মন্ত্রণালয়কে দেওয়া সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের চিঠি প্রত্যাহারেরও জোর দাবি জানানো হয়।
নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, মীর কাসেম আলী মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকে প্রভাবিত করতে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করছেন। যুদ্ধাপরাধী দল জামায়াত মনে করছেÑ দেশে যেকোনো সময় একটি বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটবে এবং যুদ্ধাপরাধের বিচার এখান থেকেই শেষ হবে। কিন্তু না, পর্যায়ক্রমে সবার বিচার হবে, যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে জামায়াতের বিচার হবে এবং পাকিস্তানে থাকা ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীর বিচারও আমরা দেখতে চাই। তিনি আরও বলেন, আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের ওই চিঠি প্রত্যাহার করা না হলে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মুনতাসির মামুন বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হিসেবে ব্যবহৃত ভবনটি সরিয়ে নিতে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এটি আমাদের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে গেছে, তাই ভবনটিকে জাদুঘর করে সংরক্ষণ করতে হবে।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন হায়দার চৌধুরী মানিক বলেন, আমরা আশা করেছিলাম আরও ট্রাইব্যুনাল হবে, কিন্তু তা না করে একে আরও সংকুচিত করার অপচেষ্টা চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, প্রবীণ সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুল হুদা, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়েশা খানম, মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, প্রজন্ম ’৭১-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তৌহিদ রেজা নূর, সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক হারুণ হাবীব, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মী। সম্পাদনা: হাসিবুল ফারুক চৌধুরী