নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘পুরনো কারাগারের জায়গা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের জন্য দেওয়া হবে না। ওই জায়গায় হল করার দাবিতে আন্দোলন করে লাভ হবে না। কারণ, ওই জায়গা তাদেরকে দেওয়া সম্ভব হবে না। তাদেরকে বিষয়টি বুঝতে হবে।’
গতকাল শনিবার আমাদের অর্থনীতির এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘কারাগার স্থানান্তর করার পর ওখানে কী হবে তা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী এখানে আমরা কাজ করব। সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও চারনেতার স্মৃতিবিজড়িত ভবন হবে। সেখানে জাদুঘর হবে। স্মৃতি সংরক্ষণাগার হবে। এছাড়া সেখানে সৌন্দর্য বাড়ানোর পাশাপাশি এলাকার মানুষ যাতে সেখানে নির্মল বাতাস পেতে পারে সেজন্য পার্ক করা হবে। ওই এলাকায় কোনো পার্ক নেই। এলাকাবাসীর জন্য সেখানে পার্ক করা একটি জরুরি বিষয়। এছাড়া সেখানে গবেষণাগারও তৈরি করার বিষয়টি রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ওই জায়গাতে কী কী স্থাপনা হবে এবং কোন কোন জায়গায় কী হবে, এর নকশা জমা দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে কাজ করা হবে। এর আগে পুরনো কারাগারের স্থানান্তরের কাজ শেষ করা হবে।’
কবে নাগাদ স্থানান্তরের কাজ শেষ হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কাজ চলছে। বেশি সময় লাগবে না।’
ওই জায়গার কোনো অংশবিশেষ কি জগন্নাথের দুএকটি আবাসিক হলের জন্য দেওয়ার সুযোগ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না, সেই রকম কোনো সুযোগ নেই। ওই জায়গা তো জগন্নাথ কলেজের কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়। ওই জায়গা তো সরকারের। কারা অধিদপ্তরের। একটি সরকারি জায়গা চাইলেই সেখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে দেওয়া যায় না।’
তিনি বলেন, ‘জগন্নাথের জন্য আবাসিক হল বানাতে হলে সেটা অন্য জায়গায় হতে পারে। কিন্তু কোথায় হবে, তা আমি এখন বলতে পারব না।’
ওই জায়গায় হল করার দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র আন্দোলন, ধর্মঘট, ক্লাস বন্ধসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকা- অচল করে রাখা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের তো ক্ষতি হচ্ছে। এটা অন্যসব শিক্ষার্থীকে বুঝতে হবে। সেই সঙ্গে তাদেরকে এটাও মনে রাখতে হবে যে, যৌক্তিক আন্দোলন না করে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখাটা তাদের নিজেদের জন্য ক্ষতিকর। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে বলেও আশা করছি।’ সম্পাদনা: মোরশেদ