রফিক আহমেদ : নারীদের জন্য সংরক্ষিত ৫০টি আসনের পাশাপাশি সংসদে সংখ্যালঘুদের জন্য ৩০টি আসন সংরক্ষণের দাবি জানালেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
গতকাল শনিবার দুপুরে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ দাবি জানান তিনি।
চাকরির ক্ষেত্রেও হিন্দুদের জন্য কোটা ব্যবস্থা করারও দাবি জানিয়ে এরশাদ বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের ২০ জন আজ সচিব ও ১৮ জন এসপি। তারা আমার শাসনামলে নিয়োগপ্রাপ্ত। আমার মন সংকীর্ণ নয়, আমি ধর্মকে বিবেচনা করিনি। আমি মেধার বিচার করেছি। আমাদের সময় মোট জনসংখ্যার ২০ ভাগ হিন্দু ছিল। এখন তা ৯ ভাগে পৌঁছেছে, যা দুঃখজনক।
সাবেক রাষ্ট্রপতি বলেন, জাপার আমলে কোনো হিন্দু অত্যাচারিত হয়নি। পুরোহিত খুন হননি। হিন্দুদের সম্পত্তি দখল হয়নি। এদেশ ছেড়ে ভারত চলে যেতে হয়নি। নব্বইয়ের পর থেকেই এদেশে হিন্দুরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। বড় দুটি দল ক্ষমতায় এসে হিন্দুদের জমি দখল করার অপচেষ্টা করে। তারা আমার দেশের নাগরিক, তারা আমার ভাই। স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবনবাজি রেখে হিন্দু সম্প্রদায়ের অগণিত লোক যুদ্ধ করে জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন।
সংখ্যালঘুদের সহযোগিতা কামনা করে জাপার চেয়ারম্যান বলেন, গ্রামে যেখানে গরুর গাড়ি চলত, সেখানে আজ গাড়ি চলছে। উপজেলা করে উন্নয়নকে গ্রাম পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছি। দশ হাজার কিলোমিটার পাকা রাস্তা করেছি, ৫০৮টি ব্রিজ করেছি। আমি নিশ্চিত ছিলাম, যেহেতু জনগণের জন্য আমি এত কিছু করেছি, জনগণ আমাকে আবারও নির্বাচিত করবে। তাই নব্বইতে আমি স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু ওরা (বিএনপি) আমার সঙ্গে বেইমানি করে আমাকে সাড়ে ছয় বছর জেলে ভরে রাখল। ওরা আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। আমি মরি নাই, আমি ভাল আছি বরং যারা আমাকে মারতে চেয়েছিল, তারা ভাল নেই।
মতবিনিময় সভায় জাপা প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়ের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন- বিরোধীদলের নেত্রী ও জাপার সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, সংখ্যালঘুবিষয়ক উপদেষ্টা সোমনাথ দে, হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে অল ইন্ডিয়া রিফুজি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ড. অর্নিবাণ হালদার, বিমল চক্রবর্তী, কপিল কৃষ্ণ ম-ল, বিরেন্দ্রনাথ মিত্র, অ্যাডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, হিমাদ্রী শেখর রায়, ভক্তি স্বরূপ পদ্মনাথ ও কান্তি বন্দু ব্রহ্মচারী। সম্পাদনা: মোরশেদ