আন্তর্জাতিক ডেস্ক: হাউস অব কমন্সে এমপিদের ভোটে অনুমোদন ছাড়াই ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। এমনটাই তাকে পরামর্শ দিয়েছেন সরকারি আইনজীবীরা। তারা থেরেসা মেকে বলেছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী ক্ষমতার বলে এ কাজটি করতে পারবেন। তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নকে বলতে পারবেন যে, লিসবন চুক্তির ৫০ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাবে ব্রিটেন। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
এতে বলা হয়েছে, থেরেসা মে যদি এ পদক্ষেপ নেন তাহলে ব্রেক্সিটের আওতায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যেতে তার সরকার সমঝোতা করার জন্য সর্বোচ্চ দুবছর সময় পাবে। তবে কিছু আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ বলেছেন, ব্রিটেন ১৯৭২ সালের ইউরোপীয়ান কমিউনিটিজ অ্যাক্টের অধীনে যোগ দিয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নে। অনুচ্ছেদ ৫০ সামনে তুলে ধরার আগে তাই ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে ১৯৭২ সালের ইউরোপীয়ান কমিউনিটিজ অ্যাক্ট বাতিল করতে হবে। তবে এ রিপোর্ট সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ১০ ডাউনিং স্ট্রিট কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এখানে উল্লেখ্য, যে আইনের অধীনে জুনে ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকা না থাকা নিয়ে গণভোট হয়েছে তাতে পরিষ্কার বলা হয়নি যে, গণভোটের ফল কি মানতে বাধ্য থাকতে হবে কিনা। এতে শুধু বলা হয়েছিল, এ ফল হবে অ্যাডভাইজারি বা পরামর্শমূলক। ৪৮০ জন এমপি ও বেশিরভাগ লর্ডস ব্রিটেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীকে যে আইনি পরামর্শ দিয়েছেন সরকারি আইনজীবীরা তাকে স্বাগত জানিয়েছেন টরি দলের এমপি বিল ক্যাশ। তিনি ব্রেক্সিটের পক্ষের একজন শীর্ষ স্থানীয় প্রচারক। তিনি সরকারি আইনজীবীদের পরামর্শ সম্পর্কে বলেছেন, আমরা এমনটাই শুনতে চাই। অনেক মানুষ আছেন যারা ব্রেক্সিটকে হুমকিতে ফেলে এ প্রক্রিয়া বন্ধ করতে চান। ব্রিটিশ জনগণ তাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন এবং তা-ই হতে হবে। তাদের সে সিদ্ধান্ত নিয়ে চলুন এগিয়ে যাই। কর্ম ও পেনশনবিষয়ক সাবেক মন্ত্রী ইয়ান ডানকান স্মিথ শুক্রবার বলেছেন, সরকার এ প্রক্রিয়াটি শিগগিরই শুরু করবে তিনি এমনটাই বিশ্বাস করেন। আমি এ নিয়ে কথা বলেছি। আমি নিশ্চিত ডেভিড ডেভিস, লিয়াম ফক্স, বরিস জনসন ও প্রধানমন্ত্রী এ পথেই রয়েছেন। সম্পাদনা: ইমরুল শাহেদ