শরীফা খাতুন শিউলী, খুলনা: আবারও খুলনা মেডিকেল কলেজে (খুমেক) আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শনিবার সকাল ১০টা থেকে এ সংঘর্ষ দফায় দফায় চলে বেলা দেড়টা পর্যন্ত। পরে পুলিশ ও ছাত্রলীগের মহানগর নেতারা এসে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করে। ঘটনার পর কলেজ ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
সাধারণ শিক্ষার্থী ও পুলিশ জানায়, খুলনা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি সাইফুল্লাহ মানসুর গ্রুপের কয়েকজন কর্মী কলেজের ক্যান্টিনে গেলে প্রতিপক্ষ সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান টিটু-ওবায়দুর রহমান গ্রুপের কর্মীরা তাদেরকে মারপিট করে। এ সময় সাইফুল্লাহ গ্রুপের এনামুল আকাশ, কামরুজ্জামান ও রাজিবিল্লাহসহ পাঁচজন আহত হয়। সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরে বেলা একটার দিকে সাইফুল্লার গ্রুপের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা, রামদা ও অস্ত্র নিয়ে টিটু-ওবায়েদ গ্রুপের নেতাকর্মীদের ধাওয়া করে। এ সময় উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। কলেজ ক্যাম্পাসে ও হাসপাতালের বিভিন্ন কক্ষে হামলা করে বেপরোয়া মারপিট ও দায়ের কোপে ফাহমিদ, সনৎ কুমার, প্রমোদ ম-ল, নাইম, জয় ও সাফায়েতসহ ১৫ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ১০ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কলেজ ও হাসপাতাল ভবনের বিভিন্ন রুমের জানালা ও একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ও র্যাব এবং মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। কলেজ এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। আবারও কোনো সংঘর্ষ এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।
সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীসহ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের ২৫-৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক বলে দাবি করেন ওসি। এ বিষয়ে ছাত্রলীগের মহানগর সভাপতির মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগ করলে তার ফোন ব্যস্ত পাওয়া যায়। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম