রামপাল স্থান হিসেবে কেন নির্বাচন ব্যাখ্যা দিলেন প্রধানমন্ত্রী
দীপক চৌধুরী : কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য স্থান হিসেবে রামপাল এলাকা নির্বাচনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য প্রয়োজন সস্তা পরিবহন ব্যবস্থা। সেজন্য কয়লাখনির কাছাকাছি অথবা সমুদ্র উপকূল বা গভীরতাসম্পন্ন নদীর তীরে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়ে থাকে। আরেকটি বিবেচ্য দিক হচ্ছে, যতদূর সম্ভব কমসংখ্যক মানুষ স্থানান্তর করা।’ এখানে বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল মানুষের ‘চুরি করে গাছ কাটার’ প্রয়োজন আর থাকবে না বলে মনে করেন তিনি। কোম্পানি থেকে বছরে ৩০ কোটি টাকা সিএসআর ফান্ডে জমা হবে। তা দিয়ে এলাকার জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করা হবে। লাখ লাখ মানুষ উপকৃত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে গতকাল প্রধানমন্ত্রী বলেন, পশুর নদী থেকে পানি নিয়ে ব্যবহারের পর তা শীতল করে বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহার করা হবে। কোনো দূষিত বা গরম পানি নদীতে ফেলা হবে না। যে পরিমাণ পানি উত্তোলন করা হবে তা অত্যন্ত নগণ্য। শুষ্ক মওসুমে পশুর নদীর প্রবাহের মাত্র দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ অর্থাৎ ২ হাজার ভাগের এক ভাগ পানির প্রয়োজন হবে। এ পশুর নদীর নাব্য বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত ড্রেজিং করা হবে।
বড়পুকুরিয়ায় সাব ক্রিটিক্যাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের পর রামপালে অত্যাধুনিক আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল বিদ্যৎকেন্দ্র হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
বিরোধিতাকারীদের বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্র ঘুরে আসার পরামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বড়পুকুরিয়া একটি সাব-ক্রিটিক্যাল পাওয়ার প্লান্ট। সাব-ক্রিটিক্যাল এবং আলট্রা-সুপারক্রিটিক্যাল প্লান্টের মধ্যে বিশাল ব্যবধান রয়েছে। তিনি বলেন, সাধারণ বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লা পোড়ানোর দক্ষতা যেখানে ২৮ শতাংশ, সেখানে আলট্রা-সুপারক্রিটিক্যাল পাওয়ার প্লান্টের দক্ষতা ৪২ থেকে ৪৩ শতাংশ। আলট্রা সুপারক্রিটিক্যালে দূষণের মাত্রা শূন্যে নামিয়ে আনা সম্ভব। একই পরিমাণ কয়লা পুড়িয়ে আমরা দেড়গুণ বিদ্যুৎ পাব। সবচেয়ে গুণগত মানসম্পন্ন কয়লা এখানে ব্যবহার করা হবে। কয়লা আমদানি করা হবে অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং সাউথ আফ্রিকা থেকে। সম্পাদনা: মোরশেদ