হামলার আশঙ্কায় সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদার তামিম চৌধুরী চ্যাপ্টার শেষ, অন্যদেরও ধরে ফেলবো : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী : তামিম চৌধুরীসহ তিন জঙ্গি নিহত হওয়ার ঘটনায় সারাদেশে সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে জঙ্গিরা এখন বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা করতে পারে। বড় শপিং মল, পাঁচ তারকা হোটেল, রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন জায়গায় হামলাও হতে পারে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মাস্টারমাইন্ড নিহত হওয়ার ঘটনায় জঙ্গিরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। জঙ্গিদের ব্যাপারে আমরা আগে থেকেই সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। এখন তা আরও বাড়িয়েছি। তার অনুসারী ও শিষ্যরা প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা জঙ্গি দমনে জিরো টলারেন্স নিয়ে কাজ করছি। আর সেই হিসাবে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই জঙ্গিবিরোধী অভিযান চালাচ্ছি। তিনি শুক্রবার রাজধানীতে এক আলোচনায় বলেন, গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলায় রাজনৈতিক মদত ছিল। তিনি জঙ্গি তৎপরতায় জামায়াত-শিবিরের ইন্ধনের কথাও জানান।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী বলেন, তামিম চ্যাপ্টার শেষ। অন্যদেরকে আমরা ধরে ফেলবো। এরা সংখ্যায় অল্প। জনগণ এদেরকে আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় না। এরা যেখানেই থাকুক না কেন আমরা ধরে ফেলবো, নিষ্ক্রিয় করবো। আমাদের বিভিন্ন ইন্টেলিজেন্স তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছিল। আমাদের কাছে যখন তথ্য আসলো তিনি এখানে আছেন তখন আমরা অভিযান চালাই।
মন্ত্রী আরও বলেন, নিহতদের একজন তামিম চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তামিম চৌধুরীকে জীবিত গ্রেফতার করা হলে আরও ভাল হতো কিনা ও তথ্য পাওয়া যেতো কিনা এই ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এরা জীবিত অবস্থায় কোনো তথ্য দেবে কি দেবে না এটা কোনো ব্যাপার না। আমাদের গোয়েন্দারা কাজ করছে, তাদের কাছে সঠিক তথ্য আছে।
মন্ত্রী বলেন, তাকে সারেন্ডার করার জন্য বলা হয়েছিল। মধ্যরাতে পুলিশ যখন ঘেরাও করেছিল তখনই তারা গ্রেনেড চার্জ করেছে, গুলি করেছে। এ সময় আমাদের সোয়াত বাহিনী চরম ধৈর্য্যরে পরিচয় দিয়েছে। পরে তারা অ্যাকশনে যায়। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম