এবার টার্গেট মাস্টারমাইন্ড মেজর জিয়া
ইসমাঈল হুসাইন ইমু: গুলশান, শোলাকিয়া ও কল্যাণপুর ঘটনার দুই মূলহোতার একজন কানাডা প্রবাসী তামিম চৌধুরী নিহত হওয়ার পর টার্গেট এখন আরেক হোতা পলাতক মেজর জিয়া।
গতকাল শনিবার নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় কবরস্থানের কাছে একটি বাসায় জঙ্গি আস্তানায় ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের ‘হিট স্ট্রং-টোয়েন্টি সেভেন’ নামের অভিযানে সহযোগীসহ নিহত হন তামিম।
এদিকে সম্প্রতি মেজর জিয়া ও তামিম চৌধুরীকে ধরিয়ে দিতে ২০ লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করে পুলিশ সদর দফতর। পুলিশের দাবি- মেজর জিয়া বর্তমানে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের শীর্ষনেতা। ২০১১ সালে সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান চেষ্টায় জড়িত অভিযোগে বরখাস্ত এবং বর্তমানে পলাতক রয়েছেন জিয়া। তার পুরো নাম সৈয়দ মো. জিয়াউল হক।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, মেজর জিয়া আগে থেকেই উগ্রগোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মুফতি জসীমুদ্দিন রাহমানী গ্রেফতার হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন, ধরা পড়ার আগে তিনি একাধিকবার ঢাকা ও চট্টগ্রামে মেজর জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সেই অভ্যুত্থান চেষ্টার মাসখানেক পর সেনাবাহিনী সংবাদ সম্মেলন করে ওই অভ্যুত্থান চেষ্টা নস্যাতের কথা জানিয়েছিল।
২০১২ সালের জানুয়ারিতে সেনা সদর দফতরে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছিল, অবসরপ্রাপ্ত ও সেনাবাহিনীতে কর্মরত কিছু ধর্মান্ধ কর্মকর্তা অন্যদের ধর্মান্ধতাকে পুঁজি করে দূরভিসন্ধিমূলক কর্মকা-ের মাধ্যমে সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে ব্যাহত করার একটি বিফল প্রয়াস চালিয়েছিল।
অপপ্রয়াসের পেছনে কিছু প্রবাসী বাংলাদেশির ইন্ধন ছিল জানিয়ে তখন বলা হয়, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিক ইশরাক আহমেদ তাদের অন্যতম। ইশরাক হংকং প্রবাসী ধারণা করে জানানো হয়, তার বাবা এম রাকিব আর তার গ্রামের বাড়ি নওগাঁ জেলার সদর উপজেলার বারশাইল ইউনিয়নের বালুভাড়া গ্রামে। সম্পাদনা: আ. হাকিম