জেএমবির কোমর ভেঙে দেওয়ার মতো একটি সফল অপারেশন
মে. জে. এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.)
জেএমবি জঙ্গিদের কোমর ভেঙে দেওয়ার মতো একটি সফল অপারেশন পুলিশ করতে সক্ষম হয়েছে নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায়। কারণ এই তামিম চৌধুরী বহুদিন ধরে আলোচনায় ছিল, সাম্প্রতিককালের বেশকিছু হামলার নির্দেশদাতা, টপ লিডার হিসেবে। গুলশান হামলার পরিকল্পনাকারী হিসেবেও তার নাম এসেছে বিভিন্ন মিডিয়ায়। তার সত্যতাও গ্রেপ্তারকৃত জঙ্গিদের কাছ থেকে পাওয়া গেছে। একজন বড় জঙ্গি নেতাকে সফল একটি অপারেশনের মাধ্যমে পুলিশ জঙ্গিদের একটি কঠোর বার্তা পৌঁছে দিয়েছে। এই জঙ্গি নির্মূল অভিযান একদিকে পুলিশের যেমন বড় সফলতা, একইসঙ্গে জঙ্গিদের সাংগঠনিক তৎপরতা বা সাংগঠনিক কাঠামোর ওপরই একটি বড় আঘাত। পুলিশের এই সফল অভিযান, মানুষের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি করবে। পুলিশ যদি সঠিকভাবে গোয়েন্দা তৎপরতা ও অন্যান্য সক্ষমতা কাজে লাগাতে পারে তাহলে জঙ্গিরা এদেশে টিকে থাকতে পারবে না। এই অভিযান পুলিশের মধ্যেও আত্মবিশ্বাস বাড়বে।
নারায়ণগঞ্জের অপারেশনে পুলিশের মধ্যে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। যদিও কল্যাণপুরে এক বা দুজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছিলেন। গুলশান হামলায় তো দুজন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছিল। গুলশান, শোলাকিয়া ও কল্যাণপুরের অভিযানে যেসব ভুল করেছিল, তা থেকে পুলিশ শিক্ষাগ্রহণ করেছে বলেই মনে হয়। যার প্রতিফলন আমরা দেখেছি, নারায়ণগঞ্জে। পুলিশ এখন বুঝতে পেরেছে, জঙ্গি নিধন অপারেশনে কতটা সতর্কতা অবলম্বন জরুরি, কী ধরনের প্রস্তুতি থাকা প্রয়োজন। নারায়াণগঞ্জের পাইকপাড়ায় চালানো সফল অভিযানে নিজেদের অক্ষত রেখে সেই সক্ষমতা তারা দেখিয়েছে। পুলিশের এমন সার্থক অভিযান আমরা আগামীতেও দেখতে পাব বলে প্রত্যাশা করি।
পরিচিতি : নিরাপত্তা বিশ্লেষক
মতামত গ্রহণ : তানভীন ফাহাদ / সম্পাদনা : জব্বার হোসেন