ইসমাঈল হুসাইন ইমু: ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বাড্ডায় চার খুনের ঘটনা ঘটেছে। আর ওই হত্যাকা-ের মূল পরিকল্পনায় ছিলেন হারুনুর রশিদ জুয়েল। গতকাল ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, শনিবার রাতভর বাড্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আদর্শ নগর এলাকা থেকে ওই হত্যা মামলার চার আসামিকে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তর বিভাগ। এরা হলেনÑ মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ জুয়েল (২৮), মোজাহিদুল ইসলাম (২১), সাফায়েত উল্লাহ ওরফে সোহাগ (২৬), রাহাত হোসেন কাব্য (১৮), ইকবাল আহম্মেদ রানা (২৩) ও শাহ পরান হোসেন রাজু (২১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকা-ে ব্যবহৃত ২টি পিস্তল ও ৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জুয়েল খুনের নেপথ্যের পরিকল্পনা, কারণ, হত্যাকা-ে অংশগ্রহণকারীদের নাম ও হত্যাকা-ের ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। এছাড়া হত্যাকা-ে ব্যবহৃত অস্ত্রসহ সার্বিক বিষয়ে তথ্য প্রদান, হত্যাকা-ে তার সংশ্লিষ্টতার কথাও স্বীকার করেন। তার দেওয়া তথ্য মতে, গুলশান ও বাড্ডা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া তার পাঁচ সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়।
মনিরুল ইসলাম বলেন, মধ্যবাড্ডা আদর্শনগর এলাকার জলিলের মালিকানাধীন স্টার গার্মেন্টের ঝুট ব্যবসার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এলাকার দুটি গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এক পক্ষের নেতা বাউল সুমন মারা যাওয়ার পর অন্য পক্ষ ওই গার্মেন্টের ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতে গেলে বিরোধ পাকাপোক্ত হয় এবং গত বছর ১৩ আগস্ট হত্যার ঘটনা ঘটে। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম