অরিজিৎ দাস চৌধুরী: ত্রিপুরাকে ভারতের সঙ্গে যুক্ত করা ন্যাশানাল হাইওয়ে- ২০৮ এ দু মাস ধরে বন্ধ হয়ে পড়েছিল। এই রাস্তা দিয়ে দরকারী জিনিসপত্র সাপ্লাইও হতে পারছিল না। এই সবকিছু নিয়ে চিন্তিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাস্তাটির একটি বড় অংশ ক্ষতিগ্রস্ত ছিল। কিন্তু এই মাসের শুরুতেই খবর আসে যে, এই ন্যাশানাল হাইওয়ের রাস্তা সারাইয়ের কাজ খুব তাড়াতাড়ি হওয়ায় দরকারী জিনিসপত্রের আমদানি শুরু হয়ে গেছে।
তবে এত তাড়াতাড়ি এই জরুরি কাজটি কিভাবে করা সম্ভব হল তা স্যোশাল মিডিয়াতে ভাইরাল হচ্ছে। একটি পোস্টে বলা হয়েছে এই রাস্তা ঠিক করা অর্থাৎ সম্পূর্ণ ভারতের সঙ্গে ত্রিপুরাকে জোড়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে ব্যক্তিগতভাবে হস্তক্ষেপ করেছেন।
স্যোশাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়া পোস্টটিতে লেখা হয়েছে ২১ জুলাই রাতে এক আইএএস অফিসারের কাছে ১০টার সময় মোদির ফোন আসে। সিকিম মনিপল ইউনিভার্সিটির একটি ছাত্র পুষ্পক চক্রবর্তী এই পোস্টটি লিখেছিলেন। তিনি এই পোস্টটি করেন কোরা ওয়েবসাইটে। চক্রবর্তীর এই পোস্টটি এখনও পর্যন্ত ২৮,০০০০ বার দেখা হয়েছে।
তিনি পোস্টে লিখেছিলেন, ‘এক আইএএস অফিসার যিনি আমার বাবার সঙ্গে খুবই ঘনিষ্ঠ, তিনি এখন ত্রিপুরার উত্তরে পোস্টিংয়ে আছেন। তাঁর কাছে ২১ জুলাই রাত ১০টায় একটি ফোন আসে। এত রাতে ফোন আসায় তিনি খুবই অবাক ছিলেন। উল্টো দিক থেকে এক যুবক বলেন, এত রাতে ফোন করার জন্য দুঃখিত, আপনি কি একটু ফ্রি আছেন? তাহলে আপনার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কথা বলতে চান। সেই সময় তাঁর মাথা আর কোনো কাজ করছিল না। পা কাঁপছিল। তিনি খুবই আস্তে ভয় পেয়ে হ্যাঁ বলেন। এর কিছুক্ষণ পর একটা বিপের পর কলটি ট্রান্সফার করা হয়। আর উল্টোদিকে স্ইে সময় মোদি।’
পোস্টে আরও লেখা হয়, ‘মোদি এত রাতে ফোন করার জন্য ক্ষমা চান। তারপর বলেন, আমি এক্ষুণি নিতিন গড়কড়ির সঙ্গে বৈঠক করলাম। ন্যাশানাল হাইওয়ে ঠিক করার জন্য আপনার সাহায্য চাই। তিনি বলেন তাঁর সরকার আসাম এবং ত্রিপুরার আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। রাস্তা ঠিক করার জন্য আপনাদের যা দরকার ভারত সরকার তাই দেবে। এই আইএস অফিসার সারা রাত ঘুমাতেই পারেননি। তাঁর কানে মোদির শব্দ যেন বেজেই চলেছিল। পরের দিনই হাইওয়ে সারাতে লোক চলে আসে।
আগামী দিন যখন আইএস অফিসার অফিসে পৌঁছান সেই সময় সেখানে আসাম সরকার এবং ত্রিপুরা সরকার তাঁর অনুমতির অপেক্ষা করছিল। দরকারী ফান্ড দিয়ে দেবার পরে নিজের স্টাফদের সঙ্গে তিনি হাইওয়ে পৌঁছান। এখানে তাঁর জন্য ৬ জন জিসিবি অপেক্ষা করছিলেন। এরা আসাম সরকারের তরফ থেকে ছিলেন।
পোস্টে আরও লেখা হয়েছে, ‘আগামী ৪ দিনে ৩০০’র বেশি ট্রাক সামগ্রীর সঙ্গে পৌঁছায়। স্থানীয় কর্মচারীদের সঙ্গে ত্রিপুরা এবং আসামের নির্মাণ বিভাগের আধিকারিকরাও সেখানে ছিলেন। ’
তবে, এই পোস্টের ব্যাপারে সরকারের তরফ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি। সম্পাদনা : রাশিদ রিয়াজ