দীপক চৌধুরী: সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার প্রত্যাহারে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গতকাল রোববার জাতীয় জাদুঘরে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম- মুক্তিযুদ্ধ ৭১-এর ঢাকা বিভাগ এ আলোচনার আয়োজন করে। জাতীয় শোক দিবসের আলোচনার শুরুতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, জিয়ার বীরত্বের কাহিনী কোনো ইতিহাসেস নেই। তিনি পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। ৭৫-এ জাতির পিতাকে হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করেছিলেন জিয়া। তিনি যে ৭৫-এর হত্যাকা-ে জড়িত ছিলেন, তার একাধিক প্রমাণ আছে। তিনি গোলাম আযমকে দেশে ফিরিয়ে এনেছিলেন। তার স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিল করা হলে শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে।
জিয়ার মরণোত্তর বিচার দাবি করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ১৫ আগস্টের ঘাতকদের বিচার হলেও চক্রান্তকারীদের বিচার হয়নি। তদন্ত কমিশন করে ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ৭১-এর ঘাতকরা পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। এ হত্যাকা-ে মদত দিয়েছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। আর পরিকল্পনাকারী ছিলেন জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধুর আত্মীয় খুনি ফারুকের জবানবন্দিতেই জিয়ার কথা আছে।
সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ পাটোয়ারি বলেন, জাতির জনকের হত্যাকা-ের কিছু বিচার হয়েছে। এতে সেনাবাহিনীর প্রায় ৭০০ সৈনিক জড়িত ছিল। তাদের বিচার হয়নি। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার তদন্ত কমিশন করার দাবি জানান। আলোচনা সভায় সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম- মুক্তিযুদ্ধ ৭১-এর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ৭১-এর ঢাকা বিভাগের সভাপতি মো. আবুল হাসিম ভূঁইয়া বলেন, ঘাতকরা ১৫ আগস্টের হত্যাকা-ের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দলকে রক্ষা করেছেন। এ জন্য শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম