বিপ্লব বিশ্বাস: গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার পরিকল্পনা শুরু হয় এপ্রিলে। আর হামলার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের পুরোটা সংগ্রহ করে তামিম চৌধুরী। পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম গতকাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
রাজধানীর বাড্ডার আলোচিত ‘ফোর মার্ডার’ নিয়ে ডিএমপি’র মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করেন মনিরুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলন শেষে তার সঙ্গে নানা বিষয়ে কথা বলেন সাংবাদিকরা।
এক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম জানান, তারা তামিম চৌধুরীকে প্রায় একবছর ধরে খুঁজছিলেন। তবে একাধিক জঙ্গি হামলায় তার সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলে গত ফেব্রুয়ারিতে। এরপর কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানায় নমুনা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর পুলিশ তার ব্যাপারে পুরোপুরি নিশ্চিত হয়। তিনি আরও বলেন, ‘জঙ্গিরা এপ্রিল থেকে গুলশানে হামলার পরিকল্পনা করে। এজন্য তাদের আয়োজন ছিল অনেক। কে হামলা করবে, কে অস্ত্র দেবে, কে তথ্য দিয়ে সহায়তা করবে, কে বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করে ছবি প্রচার করবে, এসব করতে জঙ্গিরা অনেক অর্থ খরচ করেছে। আর সেই টাকার যোগান দেয় তামিম চৌধুরী। তিনি এই অর্থ বিদেশি ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর কাছ থেকে সংগ্রহ করেন।’
আরেক মাস্টারমাইন্ড মারজান সম্পর্কে মনিরুল ইসলাম জানান, সে মূলত বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করে সমন্বয়ের কাজ করে। সে আরবি ও ইংরেজিতে পারদর্শী, বুদ্ধিমান ও চতুর, এসব কারণে দলের মধ্যে তার গুরুত্ব অনেক বেশি। মনিরুল ইসলাম জানান, আরও ৮ থেকে ১০ জঙ্গিকে চিহ্নিত করা গেছে। এছাড়া যারা জঙ্গিদের অর্থ ও অস্ত্রের যোগান দেয়, তাদের কয়েকজনকেও চিহ্নিত করা গেছে।
অপর এক প্রশ্নে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘গত একবছর আগে নিউ জেএমবির সন্ধান মেলে। তখন থেকে তামিমের নাম আসে। কিন্তু তার জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে গুলশান হামলার পর তার সংশ্লিষ্টতা বেরিয়ে আসে। এরপর কল্যাণপুর আস্তানার সন্ধানের পর তামিমের ব্যাপারে আরও নিশ্চিত হওয়া যায়। এরপরই তাকে গ্রেফতারে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।’ সম্পাদনা: আ. হাকিম