বিপ্লব বিশ্বাস: গুলশান হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলাকারী নির্ধারণ, কে অস্ত্র দেবে, কে তথ্য দিয়ে সহায়তা করবে, কে বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করে ছবি প্রচার করবেÑ এসব পরিকল্পনাকারীদের নাম পেয়েছে গোয়েন্দারা। তবে তাদের পরিচয় না দিলেও একটি সূত্র জানিয়েছে, এদের মধ্যে অধিকাংশই শিবির থেকে আসা নব্য জেএমবি সদস্য। আর এদের পেছনে রাজনৈতিক একটি অংশ আছে যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এদের সহায়তা করেছে। গোয়েন্দা সূত্রে এ কথা জানা গেছে।
সূত্র মতে, এ হামলার পেছনে জামায়াতের তিন নেতা, বিএনপির একাধিক নেতা ও একটি উগ্র মুসলিম রাজনৈতিক দলের বেশ কয়েকজন নেতা জড়িত। ইতোমধ্যে এদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। অন্যদিকে একটি সূত্র বলেছে, জামায়াতের একাধিক নেতা এ ঘটনার পর ভারতে আত্মগোপনে আছে। তাদেরও বিস্তারিত তথ্য ইতোমধ্যে ভারতের একটি গোয়েন্দা সংস্থাকে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম গতকাল দুপুরে জাতীয় যাদুঘর মিলনায়তনে শোক দিবসের আলোচনা সভায় বলেছেন, জঙ্গিদের জীবিত ধরতে খালেদা জিয়ার মায়াকান্না দেখেই বোঝা যায় জঙ্গি হামলার নেপথ্যে বিএনপি-জামায়াতই রয়েছে। তিনি আরও বলেন, যে পদ্ধতিতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জঙ্গি নির্মূল করা হয় সেই একই পদ্ধতিতে আইনশৃঙ্খলা রাক্ষাকারীবাহিনী অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া এখন মায়া কান্না কাঁদছেন। এতেই বোঝা যায় এর নেপথ্যে বিএনপি-জামায়াত জড়িত।
গতকাল রোববার পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গিহামলার সঙ্গে জড়িত আরও ৮ থেকে ১০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে।
গোয়েন্দাদের একটি সূত্র বলেছে, গুলশান হামলার আগে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিপুল অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মূলত জামায়াতে ইসলামী এবং বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এমন কিছু ব্যবসায়ী আছে যারা এ আর্থিক সহায়তা করেন। এদের মধ্যে কয়েকজন ব্যবসায়ী আছে যারা বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থান করছে। তাদের ব্যাপারেও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। তবে কিছু রাঘব বোয়াল আছে যারা পরবর্তী হামলার পরিকল্পনা করছিল। এদেরও একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। মূলত সরকার পতন এবং বিদেশি হস্তক্ষেপের জন্যই এ হামলার পরিকল্পনা করা হয়। তবে বরাবরের মতো টার্গেট শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম