দীপক চৌধুরী: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ শুরু করি ২০০০ সালে। খালেদা জিয়া ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে তা বন্ধ করেননি। তখন পরিবেশের জন্য তো মায়াকান্না করেননি। বরং ফুলবাড়িতে ওপেনপিট কয়লা খনির বিরুদ্ধে আন্দোলনরত মানুষের ওপর গুলি করে আধা ডজন মানুষ হত্যা করেছিলেন খালেদা জিয়া। গত শনিবার গণভবনে জনাকীর্ণ এক সংবাদ সম্মেলনে একথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।
প্রমাণ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাব-ক্রিটিক্যাল প্লান্ট ব্যবহার করলেও ঘনবসতি এবং সবুজে ঘেরা বড়পুকুরিয়া এলাকায় বিগত দশ বছরে পরিবেশ এবং জনজীবনে কোনো বিরূপ প্রভাব পড়েনি। উল্টো সেখানকার জমি আরও ঊর্বর হয়েছে। ফসল ভালো হচ্ছে। তিনি বলেন, বিশ্বের বহুদেশে বনভূমির মাঝখানে, শহরের মধ্যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। এ সময় দেশের বনভূমির কাছাকাছি এবং ঘনবসতি এলাকায় স্থাপিত কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদাহরণ এবং ছবি প্রদর্শন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া কোল পাওয়ার প্লান্ট, ক্ষমতা ১৩০০ মেগাওয়াট। ন্যাশনাল পার্কের এক কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত। ২০১৫ সালে ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার মোট বিদ্যুতের ৯৪ শতাংশ কয়লা থেকে উৎপন্ন হয়েছে। কুয়াং নিন বিদ্যুৎকেন্দ্র Ñ ভিয়েতনাম, ১২০০ মে.ওয়াট। হ্যালং বে (উইনেস্কো ঐতিহ্য)-এর মাত্র ৬ কিলোমিটার দূরে। ইসোগো বিদ্যুৎকেন্দ্র, ইওকোহোমা, জাপান, ১২০০ মেগাওয়াট, আবাসিক এলাকার সন্নিকটে। তাইচুং বিদ্যুৎকেন্দ্র, তাইওয়ান, ৫৫০০ মেগাওয়াট, শহরের প্রাণকেন্দ্রে। হেইলব্রোন হ্যাফেন বিদ্যুৎকেন্দ্র জার্মানি, ৭৫০ মেগাওয়াট, শহর সংলগ্ন এবং নদী তীরবর্তী। রেইনহফেন ড্যাম্ফক্রাফট বিদ্যুৎকেন্দ্র, জার্মানি, ১৪৬২ মেগাওয়াট এটাও শহর সংলগ্ন এবং নদীর তীরবর্তী।