বিভাগীয় কমিশনার সমন্বয় সভার সুপারিশ ঈদের ছুটিতে ডিসি অফিসে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালুর নির্দেশ
আনিসুর রহমান তপন : আসন্ন ঈদ-উল-আযহার ছুটিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য সব জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে (ডিসি) একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলার জন্য বিভাগীয় কমিশনারদের নির্দেশনা দেওয়ার সুপারিশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। গতকাল রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বিভাগীয় কমিশনার সমম্ময় সভায় এই সুপারিশ করা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
এছাড়া বৈঠকে ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নির্বিঘœ করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে সমন্বিত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ডিসিদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনারও সুপারিশ করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, একান্ত অপরিহার্য না হলে ঈদের ছুটিতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কর্মস্থলে থাকার জন্য বলা হয়েছে।
জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা যাতে নিয়মিত হয় সে বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনাসহ প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত জেলা কোর কমিটির সভাগুলো ফলপ্রসু করতে বিভাগীয় কমিশনারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বৈঠকে ঠাকুরগাঁও ও ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ায় নতুন জেলা প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঈদে সুষ্ঠু পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, চোরাচালানবিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখা, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নের অগ্রগতি, সরকারি কর্মকর্তাদের ইনোভেশন (উদ্ভাবন) ও বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিল চালু করাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া সম্প্রতি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পুনর্বাসন সহায়তা, ক্ষতিগ্রস্ত স্কুল-কলেজ সংস্কার ও কৃষি পুনর্বাসন নিয়েও আলোচনা হয়।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ঈদ-উল-আযহায় ঘরেফেরা মানুষের দুর্ভোগ লাঘব, ঈদে সুষ্ঠু পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে এ বিষয়গুলো বাস্তবায়নে বিভাগীয় কমিশনারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে বিভাগীয় কমিশনারদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সারাদেশে জেলা প্রশাসনের পরিচালিত চোরাচালান বিরোধী অভিযান আগের মাসের তুলনায় জুলাই মাসে ৬৫৪টির বেশি করা হয়েছে। একইসঙ্গে জুলাই মাসে সারাদেশে ৬৭২টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ৩ হাজার ৭৬৬ জনকে আসামি করে দুই হাজার ৬২০টি মামলা করা হয়েছে। আর এসব মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তিন কোটি ৬৫ লাখ ৮৭ হাজার ২৫ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। যৌন হয়রানি প্রতিরোধে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে বিভাগীয় কমিশনাররা বৈঠকে জানান, যৌন হয়রানি প্রতিরোধে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি সারাদেশে জুলাই মাসে এ সংক্রান্ত ৯৬টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। এতে ১৮টি মামলা ৯ জনকে অর্থদ-, ১৪ জনকে কারাদ-সহ উভয় দ- দেওয়া হয়েছে ৭ জনকে। সম্পাদনা: আ. হাকিম