বাসায় তালা দিয়ে জঙ্গি তাওসিফের বাবা-মা উধাও
ডেস্ক রিপোর্ট: নারায়ণগঞ্জে জঙ্গি আস্তানায় ‘অপারেশন হিট স্ট্রং-২৭’-এ নিহত ৩ জঙ্গির একজন তাওসিফ হোসেনের বাসা রাজধানীর ধানম-িতে। চারতলার একটি ফ্ল্যাটে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকত সে। তবে পড়ত মালয়েশিয়ার মোনাশ ইউনিভার্সিটিতে। এ ঘটনার পর রাতেই বাসাটিতে তালা দিয়ে অজ্ঞাতস্থানে চলে গেছেন তারা বাবা-মা। বাংলাট্রিবিউন
পুলিশ গতকাল রোববার নিশ্চিত করেছে, নিহত জঙ্গি তাওসিফ হোসেনের গ্রামের বাড়ি রাজশাহীতে। বাবার নাম আজমল হোসেন। এদিকে, পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধানম-ির ওই বাসায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তাওসিফের বাবা-মা শনিবার রাতেই বাসাটিতে তালা দিয়ে অন্য কোথাও চলে যান।
ধানম-ির ১৫ নম্বর সড়কের ১৯/২ নম্বরের বাসাটিতে গত ৬ বছর ধরে কাজ করেন গার্ড নান্নু মিয়া। তার গ্রামের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ। তিনি জানান, তাওসিফ মালয়েশিয়ায়ই থাকত বেশিরভাগ সময়। তবে ছুটিতে দেশে এলে এ বাসাটিতেই বাবা-মায়ের সঙ্গে উঠত। ৩ ফেব্রুয়ারি বিকালে তাওসিফ কালো রঙের একটা ব্যাগ নিয়ে বের হয়। ব্যাগটির ওজন তেমন বেশি ছিল না। প্রতিদিন বিকালে সে বাসা থেকে বের হতো। সন্ধ্যায় আজমল স্যার ইন্টারকমে আমাকে জিজ্ঞেস করে ‘আমার ছেলেটাকে যেতে দেখছো?… এখনও তো বাসায় ফেরেনি।’ ওইদিনের পর থেকে তাওসিফকে আর এ বাসায় দেখা যায়নি।
ওই বাসায় ছুটা কাজ করেন গৃহপরিচারিকা শাহানাজ বেগম। প্রতিদিনের মতো গতকাল সকালেও কাজ করতে এসে গার্ডদের কাছে শোনেনÑ তাওসিফের বাবা-মা কেউ বাসায় নেই। শাহানাজ বলেন, ম্যাডাম সারাদিন কান্নাকাটি করত। তার ভাইবোনদের বাসা থেকে খাবার-দাবার দেওয়া হতো। তা খেত তারা। তাদের তিন সন্তানের মধ্যে তাওসিফ সবার ছোট। দুই মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ের জামাই মেজর। তারা ক্যান্টনমেন্টে থাকেন। ছোট মেয়ে কানাডায় পড়ালেখা করেন। তাওসিফ মালয়েশিয়ায় পড়ত। কেয়ারটেকার শহীদ বলেন, ফ্ল্যাটে তালা দিয়ে তারা চলে গেছে। আমাদের বাসায় খেয়াল রাখতে বলছে। সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী