বাংলাদেশের উন্নতি মানে যুক্তরাষ্ট্রেরও উন্নতি : বার্নিকাট
আরিফুর রহমান: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য অনেকটাই বাংলাদেশের অনুকূলে। আমদানির
বিপরীতে রপ্তানি প্রায় ১০ গুণ। তবে জেএসপি সুবিধা স্থগিতের পর দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্কে জটিলতা বাড়লেও সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর তাতে আস্থা বাড়াবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। নিরাপত্তা ও জঙ্গি ইস্যুতে একসাথে কাজ করা গেলে বিদেশি বিনিয়োগ অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। ইনডিপেনডেন্ট টিভি
যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যের সম্পর্কের শুরু স্বাধীনতার পরপরই। তবে এতে গতি এসেছে বিংশ শতাব্দী থেকে। দেড় দশকে দেশের তৈরি পোশাকের অন্যতম প্রধান বাজার এখন যুক্তরাষ্ট্র। সব মিলিয়ে বছরে পণ্য রপ্তানি ৫শ কোটি ডলারের বেশি। তবে ৫শ কোটি ডলার রপ্তানির জন্য শুল্ক দিতে হয় ৭০ কোটি ডলার। তাই দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য থেকে লাভবান হচ্ছে দুদেশই।
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে বার্নিকাট বলেন, ‘আমার দেশ বাংলাদেশের সাথে উন্নয়নে অংশীদারিত্ব স্থাপন করতে চায়। কারণ, আমরা মনে করি বাংলাদেশের উন্নতি মানে যুক্তরাষ্ট্রেরও উন্নতি’।
তবে রানা প্লাজা ধসের পর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সীমিত আকারে জিএসপি সুবিধা স্থগিত করে ওবামা প্রশাসন। শীতল হতে শুরু করে দুদেশের বাণিজ্য সম্পর্ক। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সফরে তা অনেকটাই প্রশমিত হবে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা।
কেরির সফরে নিরাপত্তা ও জঙ্গি দমন মূল বিষয় হলেও এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব অনেক বলে ধারণা করছেন অর্থনীতিবিদরা।
পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করতে না পারলে আমাদের অর্থনীতিতে ব্যাপক ক্ষতি হবে। মার্কিন সরকারের সাথে যদি সফলভাবে বাণিজ্য বিষয়ে ক্যাম্পেইন করতে না পারি তাহলে আমারা পরোক্ষভাবে ক্ষতির মধ্যে পড়ে যাব’।
দুদেশের আন্তঃবাণিজ্য আরও বাড়াতে ‘টিকফা’ চুক্তিকে কার্যকর করার কথাও বলছেন অনেক ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদ। সম্পাদনা: রাশিদ রিয়াজ