নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী: সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার, সাবেক রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি ও তার উত্তরাধিকাররা যেসব সুযোগ-সুবিধা পান সরকার তা বাতিল করতে চাইলে করতে পারে। তবে এ ব্যাপারে আগের রায় দেখে নিতে হবে। এ মুহূর্তে আমার ঠিক মনে নেই ২০০৫ সালে রায়ে ঠিক কি লিখেছিলাম। সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করে যে রায় দেওয়া হয়েছিল সেখানে বিস্তারিত লেখা আছে। সরকার সেটি দেখতে পারে। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক। বিচারপতি খায়রুল হক বলেন, আমি সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর ব্যাপারে ওই সময়ে রায় দিয়েছিলাম, সেখানে বলে দিয়েছিলাম কি কি অনিয়ম হয়েছে ও কি কি বৈধ হয়নি। ওই রায়ের আলোকে কি করতে হবে। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামল দুটিই আদালতে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেই হিসেবে তাদের প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধাও বাতিল করার সুযোগ রয়েছে।
সরকার এখন জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পদক বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকার চাইলে তার পদক বাতিল করতে পারে। তবে এটা কিভাবে করবে তাতো আমি বলতে পারছি না।
এরশাদেরও সব সুবিধা বাতিল করা যাবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সপ্তম সংশোধনী বাতিল করার কারণে তার সুযোগ-সুবিধাও বাতিল করতে পারবে সরকার।
আপনার দেওয়া রায়ের আলোকে সরকার যদি ব্যবস্থা নেয় তাহলে কেবল এ প্রসঙ্গ ও সুযোগ-সুবিধাই বাতিল হবে, কিন্তু তাদের শাসনামলের সব কিছু বাতিল করা হবে না কেন- এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শাসনামলের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার জন্য সরকার এর আগে ব্যবস্থা নিয়েছে। সে ক্ষেত্রে শূন্যতা তৈরি হবে না।
সরকার জিয়াউর রহমানের পদকসহ সব সুবিধা বাতিল করার জন্য আইন করেছে- এ বিষয়ে আপনি জানেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকার রায়ের আলোকে আইন করবে। এ জন্য আমার কাছে আসার দরকার হবে না।
এরশাদের সুযোগ-সুবিধা বাতিল করার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পঞ্চম সংশোধনী ও সপ্তম সংশোধনী দুটি বাতিল করা হলে ওই দুই সময়ের দুজনের বিষয়টি আসবে। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম