আজাদ হোসেন সুমন: রপ্তানি বাণিজ্যে গত ৭ বছরে প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। ২০০৫-০৬ অর্থবছরে নগদ সহায়তার পরিমাণ ছিল ৬০২ কোটি টাকা। গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে চার হাজার কোটি টাকা নগদ সহায়তা দেওয়া হয়। ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে ব্যবসায়ীদের মাঝে রপ্তানি ট্রফি বিতরণ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রী। সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে এবং সিঙ্গাপুরে দুটি নতুন বাণিজ্য উইং খোলা হয়েছে। বাংলাদেশ ২০০৮-০৯ থেকে ২০১৫-১৬ অর্থবছর সময়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ব্যবস্থাপনায় বিদেশে ১৯৬টি আন্তর্জাতিক মেলায় অংশগ্রহণ করেছে। ২০২১ সালে দেশের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। শুধু তৈরি পোশাক খাতেই ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও রপ্তানি পণ্য প্রদর্শনীর জন্য চীনের সহায়তায় মুন্সিগঞ্জ জেলার বাউশিয়াতে প্রায় ৫৩১ একর জমির উপর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্র নামে একটি অত্যাধুনিক গার্মেন্টস শিল্পপার্ক নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন থাকার কথাও বলেন শেখ হাসিনা।
এ গার্মেন্টস শিল্প পার্কের জন্য দেশের ব্যবসায়ীদের অনাগ্রহের কথা মনে করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। আপনারা ঢিলেমি করছেন। আশা করি, আগামীতে আপনারা উদ্যোগী হবেন।
৭৯৬ কোটি টাকা ব্যয়ে এ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ ২০১৯ সালের জুন মাসের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। ওষুধ রপ্তানিতে বাংলাদেশ অত্যন্ত সফল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওষুধ একটি বিশাল খাতে পরিণত হবে। ইতোমধ্যে ১২২টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করা হচ্ছে। ডব্লিউটিও ট্রিপস চুক্তির মেয়াদ ২০৩২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে ওষুধ রপ্তানি বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে। সম্পাদনা: সৈয়দ নূর-ই-আলম