আজাদ হোসেন সুমন: সীমিত পণ্যের ওপর দেশের রপ্তানিনির্ভরতাকে অন্যতম দুর্বলতা হিসেবে আখ্যায়িত করে ব্যবসায়ীদের নতুন নতুন বাজার খুঁজে বের করার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ২০১১-২০১২ এবং ২০১২-২০১৩ অর্থবছরের ‘জাতীয় রপ্তানি ট্রফি’ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ তাগিদ দেন । অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী রপ্তানি বাণিজ্যের এ সমস্যা দূর করার জন্য পণ্য তালিকায় নতুন নতুন পণ্যের সংযোজন এবং কম অবদান রাখছেÑ এমন পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের উদ্যোগী হওয়ার আহবান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা নতুন নতুন বাজার খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। কারণ কোন দেশে কি বাজার আছে এবং কোন ধরনের পণ্যের চাহিদা আছে সেটা চিহ্নিত করার মাধ্যমে রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ করতে হবে। রপ্তানি উন্নয়নে সম্ভাব্য সব খাতে ২০৪১ সালকে লক্ষ্য ধরে রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হচ্ছে বলেও তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করে অধিক মূল্য সংযোজিত পণ্য উৎপাদন ও দেশজ কাঁচামালনির্ভর রপ্তানিপণ্য উৎপাদনে ব্যবসায়ীদের মনোনিবেশ করার অনুরোধও জানান প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে ‘রূপকল্প ২০২১’ ঘোষণার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ২০০৯ সালে আমরা যখন দায়িত্ব নেই তখন বিশ্বব্যাপী মন্দা চলছিল। তা সত্ত্বেও বিগত সাড়ে সাত বছরে মাথাপিছু আয় প্রায় তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়ে এক হাজার ৪৬৬ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে রপ্তানি আয়ের গড় প্রবৃদ্ধি প্রায় ১২ দশমিক ৫২ থাকার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, পরিমাণগত দিক বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৬.৯১ বিলিয়ন ইউনিট রপ্তানি করেছে, যা পূর্ববর্তী বছরে ছিল ২.৪৪ বিলিয়ন ইউনিট। অর্থনৈতিক সাফল্যের পেছনে শিল্প-উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের কঠোর পরিশ্রম এবং উদ্ভাবনশক্তির পাশাপাশি সরকারের ব্যবসাবান্ধব উদার নীতিমালার সহায়ক হিসেবে কাজ করার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম, বাণিজ্য সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমেদ এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান মাফরুহা সুলতানা। সম্পাদনা: সৈয়দ নূর-ই-আলম