আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। পুরো নাম জন ফোর্বস কেরি। একজন সাহসী যোদ্ধা হিসেবে দেশের হয়ে তিনি লড়াই করেছেন ভিয়েতনামের রণাঙ্গনে। নৌ সেনা হিসেবে যুদ্ধে বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ ভূষিত হয়েছেন সিলবার স্টারসহ যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক সম্মানজনক পুরস্কারে। সেই যোদ্ধাই এখন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সিএনএন
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যরিয়ারে জন কেরি পালন করেছেন নানা গুরুদায়িত্ব। দীর্ঘ সময় ধরে ম্যাসাচুসেটস রাজ্যের সিনেটর ছিলেন। এছাড়া মার্কিন সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক সংক্রান্ত কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ২০০৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মনোনয়ন পেলেও হোয়াইট হাউসের সর্বময় কর্তত্বের স্বপ্ন অধরাই থেকে যায় তার। ওই নির্বাচনে তিনি রিপাবলিকান পার্টির জর্জ ডব্লিউ বুশের কাছে পরাজিত হন। তবে নির্বাচনে হেরে রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাননি এ আপাদমস্তক রাজনীতিক। প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের দ্বিতীয় মেয়াদে দলের প্রতি অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেন বারাক ওবামা। যুক্তরাষ্ট্রের ৬৮তম পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান প্রবীণ এ কূটনীতিক। ২০১৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে হিলারি ক্লিনটনের উত্তরসূরি হিসেবে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন।
জন কেরি’র জন্ম ১৯৪৩ সালের ১১ ডিসেম্বর। জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের ডেনভার শহরে। তার পিতা রিচার্ড জন কেরি ছিলেন আইনজীবী ও মার্কিন ফরেন সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা। মা রোজমেরি ইসাবেল ফোর্বস ছিলেন একজন নার্স ও সমাজকর্মী। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ
জন কেরির পূর্বপুরুষরা ছিলেন অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ান (অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি) ইহুদি সম্প্রদায়ের সদস্য। পরে তার দাদা ধর্মান্তরিত হয়ে খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত হন। তার বাবা রিচার্ড জন কেরি একজন ক্যাথলিক খ্রিস্টান হিসেবেই বেড়ে উঠেন।
ম্যাসাচুসেটস এবং নিউ হ্যাম্পশায়ারের বোর্ডিং স্কুলে পড়াশুনা করেন জন কেরি। ১৯৬৬ সালে তিনি ইয়েল ইউনিভার্সিটি থেকে কূটনীতিতে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এরপর সেচ্ছাসেবক হিসেবে যোগ দেন ইউনাইটেড স্টেটস নেভি’তে। একপর্যায়ে তিনি ভিয়েতনাম যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এ যুদ্ধে সাহসিকতার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি সিলবার স্টার এবং ব্রোনজ স্টার মেডেলসহ নানা পুরস্কার লাভ করেন। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ