কাশ্মীরের বেশিরভাগ এলাকায় কারফিউ প্রত্যাহার, জারি থাকছে ১৪৪ ধারা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ৫২ দিন পর কারফিউ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। ৫২ দিনের অচলাবস্থার পর অবশেষে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বেশিরভাগ এলাকা থেকে কারফিউ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। সোমবার থেকে পুলওয়ামা ও শ্রীনগরের কয়েকটি এলাকা বাদে কাশ্মীরের বাকি এলাকাগুলো কারফিউর আওতামুক্ত বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এনডিটিভি
সম্প্রতি কেবল শ্রীনগরের কয়েকটি এলাকার কারফিউ প্রত্যাহার করা হয়েছিল। অবশ্য সোমবার থেকে কাশ্মীরের বেশিরভাগ এলাকার কারফিউ প্রত্যাহার করে নেওয়া হলেও এসব জায়গায় ১৪৪ ধারার আওতায় লোকজনের জমায়েতের উপর কড়াকড়ি বহাল থাকছে। অর্থাৎ, কোনো জায়গায় ১০ জন কিংবা তার বেশি মানুষ জড়ো হতে পারবেন না। গত ৮ জুলাই কাশ্মীরের অনন্তনাগের কোকেরনাগ এলাকায় সেনা ও পুলিশের বিশেষ বাহিনীর যৌথ অভিযানে হিজবুল কমান্ডার বুরহান ওয়ানিসহ তিন হিজবুল যোদ্ধা নিহত হওয়ার পর কাশ্মীরজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষুব্ধ কাশ্মীরীদের দাবি, বুরহানকে ‘ভুয়া এনকাউন্টারে’ হত্যা করা হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি রাজনৈতিক অস্থিরতা কমাতে ও সংকটের সমাধান করতে তাকে একটি সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কাশ্মীরের প্রতিবাদী তরুণদের প্রতি। শনিবার তিনি কাশ্মীর পরিস্থিতি আলোচনা করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন।
মেহবুবা বলেন, ‘ছেলেরা, তোমরা যারা পথে নেমে এসেছ, তাদের বলছি। আমি হয়তো তোমাদের উপর রেগে আছি, তোমাদেরও হয়তো আমার প্রতি অনেক ক্ষোভ আছে। কিন্তু তবুও আমাকে একটি সুযোগ দাও।’ প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে ৪৫ মিনিট দীর্ঘ বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন। কাশ্মীরে অস্থিরতা তৈরি করার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে মেহবুবা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদি কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন।’ সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ