আস্তর্জাতিক ডেস্ক : কাশ্মীর নিয়ে হাঁকডাকের ফল হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে ইসলামাবাদ। বেলুচিস্তান, গিলগিট এবং অধিকৃত কাশ্মীরের পর এবার সিন্ধু প্রদেশেও ‘মুক্তিযুদ্ধে’র ডাক। উঠল স্বাধীন ‘সিন্ধুদেশ’-এর সেøাগান। লন্ডনে চীনা দূতাবাসের বাইরেও একজোট হয়ে বিক্ষোভ দেখান সিন্ধু ও বেলুচিস্তানের নেতারা। চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর নিয়ে তাদের আপত্তি। বেলুচিস্তান নিয়ে নরেন্দ্র মোদির সমর্থন পেয়ে এখন আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন তাঁরা। আজকাল
সোমবার লন্ডনে চীনা দূতাবাসের সামনে একজোট হয়ে বিক্ষোভ দেখান ‘সিন্ধ বালোচ ফোরাম’, ‘বিশ্ব সিন্ধি কংগ্রেস’, ‘বালোচ ন্যাশনাল মুভমেন্ট’, ‘বালোচ রিপাবলিকান পার্টি’, ‘বালোচ যুব সংগঠন’, ‘বালোচ ছাত্র পরিষদ’, এবং ‘বালোচ মানবাধিকার কাউন্সিল-ইউ কে’র নেতা-সমর্থকরা। পাকিস্তান বিরোধী সেøাগানের পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদির সমর্থনেও সেøাগান দেন তারা। বলেন,‘ স্বাধীনতা আমাদের অধিকার। বেলুচিস্তানের পাশে আছেন মোদি। আপনি এগিয়ে আসুন। আমরা আপনার পাশে আছি।’ বিশ্ব সিন্ধি-কংগ্রেস সংগঠনের চেয়ারম্যান লখু লুহানা জানিয়েছেন, ‘চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর কিছুতেই মেনে নেব না আমরা।’ বালোচ নেতা নূরদিন মেঙ্গাল বলেন, ‘পাকিস্তান ও চীনকে বুঝিয়ে দিতে চাই, বেলুচিস্তানের মানুষের সমর্থন ছাড়া এক পা এগোতে পারবেন না তারা।’ দেশের পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে আরব সাগরের যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের প্রকল্পটি হাতে নেয় বেইজিং। বেলুচিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমে গদর বন্দর থেকে শুরু হয়ে সেটি পূর্বদিকে কিছুটা পথ গিয়ে সিন্ধু প্রদেশে ঢুকছে। সেখান থেকে লাহোর ও ইসলামাবাদ ছুঁয়ে প্রবেশ করছে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর গিলগিটে ও বাল্টিস্তানে। সেখান থেকে ঢুকেছে চিনের জিনজিয়াং প্রদেশে। কিন্তু সেটি নির্মাণ নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি জানিয়ে এসেছেন বেলুচিস্তান, সিন্ধু ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের নানা গোষ্ঠী। তাদের বক্তব্য, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মাথায় করে দীর্ঘদিন বাস করলেও মুখ তুলে তাকায়নি পাকিস্তান সরকার। এখন হাজার হাজার মানুষকে উৎখাত করছে তারা। কোনও মতেই প্রকল্প মানা হবে না। পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে এই বাণিজ্যপথ তৈরি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে ভারতও। কিন্তু ১৫ আগস্ট নরেন্দ্র মোদি প্রকাশ্যে বেলুচিস্তান নিয়ে সমর্থন জানালে, চীনের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে। রোববার ভারতকে হুঁশিয়ারি দেন দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চল সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানের কর্তা হু শিশেঙ। বলেন, করিডরটি তৈরি করতে ৪৬০০ কোটি ডলার খরচ করছে বেইজিং। ভারতের খবরদারিতে তা নষ্ট হলে বেলুচিস্তান নিয়ে তারা পাকিস্তানের হয়ে গলা চড়াবেন। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ