মে.জে.আব্দুর রশীদ (অব.)
বেশ কিছুদিন থেকেই দেশের অভ্যন্তরে নিরাপত্তার বিষয়ে এক ধরনের অন্ধকারাচ্ছন্ন অবস্থা বিরাজ করছিল। আইএস ও অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠন মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। তারা বিভিন্ন সময় হত্যা, খুন, বোমা হামলা ও অপহরণ জনিত কিছু ঘটনা ঘটানোর মাধ্যমে দেশের পরিস্থিতি নাজুক করতে চেয়েছিল এবং কিছুটা সক্ষমও হয়েছিল।
জঙ্গি ও সন্ত্রাসী হামলার পরে, নব্য জেএমবির নামে যে সংগঠনটি রক্ষিত হচ্ছিল, যারা জঙ্গি হামলার পেছনে কাজ করেছে তাদের সম্পর্কে নিরাপত্তা বাহিনী বা পুলিশ বাহিনীর কাছে যথেষ্ট তথ্য ও ধারণা রয়েছে। যার ফলে আমরা জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের হামলার ব্যাপারে আগে থেকেই জানতে পারছি এবং জঙ্গি নেতৃত্বের একটি বড় অংশ পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের বাহিনীর তৎপরতায় জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের হামলার সক্ষমতা নিঃসন্দেহে অনেক কমেছে। বাহিনীর তৎপরতা এভাবে চলমান ও সক্রিয় যদি থাকে তবে আমি মনে করি, ভবিষ্যতে বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা খুবই কম।
সেক্ষেত্রে বাংলাদেশে নিরাপত্তার বিষয়টি অনেক উন্নত হয়েছে। এই উন্নতির মূলে আরেকটি বিষয় যুক্ত হয়েছেÑ মানুষের সচেতনতা। মানুষ জঙ্গিত্বকে সমর্থন করেনি। যার ফলে আমাদের নাগরিকদের যে চাওয়া সেটিই এখন জয়ী হয়েছে। জঙ্গিদের সম্পর্কে তথ্য দেওয়ার জন্য পুলিশ সহযোগিতা চাইছে। আরেকটি হলো, নতুন জঙ্গিদের পিছনে যে অংশটা কাজ করছিল, সেটি হলো বিদেশ থেকে আগত অনেকে নেতৃত্ব নিয়েছিল। তাদের সঙ্গে দেশের কিছু স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি যুক্ত হয়েছিল, মদদ দিয়েছিল। সেই নেতৃত্বের মধ্যে অনেকেই ধরা পড়েছে এবং অনেকে ধরা পড়ার মধ্যে আছে। এ কারণে জঙ্গিরা নতুন করে আর সংগঠিত হতে পারছে না। সার্বিক বিবেচনায় বলা যায়, বাংলাদেশের নিরাপত্তাব্যবস্থা স্বাভাবিক ও আগের তুলনায় অনেক ভালো।
পরিচিতি : নিরাপত্তা বিশ্লেষক
মতামত গ্রহণ : শরিফুল ইসলাম
সম্পাদনা : জব্বার হোসেন