ডেস্ক রিপোর্ট: ভারতীয় ঋণে কেনা হচ্ছে ৫০০ ট্রাক। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) আওতায় এসব ট্রাক সারা দেশে চলাচল করবে। এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ২১৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এরমধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৯৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা এবং ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটের ১৫৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
আজ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ প্রকল্পটি উপস্থাপনের কথা রয়েছে বলে পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে।
পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য খোরশেদ আলম চৌধুরী পরিকল্পনা কমিশনের মতামত দিতে গিয়ে বলেন, প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বিআরটিসির আওতায় ট্রাকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়া সমগ্র দেশব্যাপী পণ্য পরিবহন সেবা বৃদ্ধিসহ আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটবে।
মধ্যমেয়াদী বাজেট কাঠামোর (এমটিবিএফ) অন্তর্ভুক্ত মন্ত্রণালয় হিসেবে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় প্রকল্পটির অর্থায়নের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ প্রস্তাবিত মেয়াদকালে প্রকল্পের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বর্তমানে বিআরটিসির ট্রাক বাংলাদেশ খাদ্য অধিদফতর, বিএডিসি, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিজি প্রেস, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড, প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ অক্সিজেন লিমিটেড, কর্ণফুলি পেপার মিল, বাংলাদেশ রেলওয়ে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন, বিটিভি, পিডিপি, আবহাওয়া অধিদফতর ও অন্যান্য বেসরকারি সংস্থার বিভিন্ন ধরনের পণ্য পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত হয়। মৌসুমী ফল, পোল্ট্রি সামগ্রী, ওষুধ, পোশাক শিল্পে ব্যবহৃত পণ্যসামগ্রী এবং অন্যান্য পচনশীল পণ্য পরিবহনের জন্য বিপুলসংখ্যক ট্রাকের চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন সাইক্লোন, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস এবং জরুরি প্রয়োজনে বিআরটিসির ট্রাক সার্ভিস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে পণ্য পরিবহন খাতে বিআরটিসির সেবা বাড়াতে পুরাতন ট্রাক প্রতিস্থাপন এবং নতুন ট্রাক সংগ্রহ করা প্রয়োজন। এ প্রেক্ষিতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ভারতীয় ক্রেডিট লাইন এর আওতায় ৫০০ ট্রাক ক্রয়ের লক্ষ্যে মোট ২১৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে এবং ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি হতে ২০১৮ সালের জুনে বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়।
প্রস্তাবিত প্রকল্পের উপর ২০১৬ সালের ২৮ এপ্রিল মাসে পিইসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পুনর্গঠন করা হয়েছে।
প্রকল্পের প্রধান প্রধান কার্যক্রমগুলো হচ্ছে, ১৫টন মালামাল ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ৩৫০ ট্রাক ও ১০ টন মালামাল ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ১৫০ ট্রাকসহ খুচরা যন্ত্রপাতি এবং আনুসাঙ্গিক সেবা ক্রয়, রেজিস্ট্র্রেশন ফি, ক্লিয়ারিং ফরোয়ার্ডিংয়ের এল/সি কমিশন, ইমপোর্ট ডিউটি এবং ভ্যাট প্রদান করা হবে। দ্য রিপোর্ট ২৪। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম