এস এম নূর মোহাম্মদ: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ১১১ চিকিৎসকের মধ্যে যোগ্যদের কীভাবে চাকরিতে রাখা যায়, সে ব্যাপারে মতামত জানতে চেয়েছেন আপিল বিভাগ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী রোববারের মধ্যে বিষয়টি আদালতকে জানাতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত লিভ টু আপিল খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে চিকিৎসকদের করা রিভিউ আবেদনের শুনানিকালে গতকাল সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনকারী চিকিৎসকদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ, কামরুল হক সিদ্দিকী, এ এম আমিন উদ্দিন ও শরীফ ভূঁইয়া। অপরদিকে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
জানা যায়, ২০০৬ সালের ২৬ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০তম সিন্ডিকেটে ২০০ জন মেডিকেল অফিসারের পদ সৃষ্টি করা হয়। সেই ধারাবাহিকতায় ১৮ অক্টোবর কিছুসংখ্যক চিকিৎসক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। সেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে স্বাচিপের তৎকালীন মহাসচিব ইকবাল আর্সলান হাইকোর্টে একটি রিট করেন। শুনানি শেষে ২০০৬ সালের জানুয়ারিতে আদালত এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করেন।
পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করে। সেই আবেদনের ভিত্তিতে আদালত নিয়োগ সংশোধন সাপেক্ষে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন। আদালতের আদেশে বলা হয়, নিয়োগ দেওয়া চিকিৎসকের সংখ্যা যেন ২০০ এর বেশি না হয়। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি