বিপ্লব বিশ্বাস : হজ ফ্লাইট শেষ হওয়ার বাকি আর মাত্র ৭ দিন। কিন্তু বুকিং দিয়েও অনেক হজ এজেন্সি টিকেট সংগ্রহ না করায় প্রতিদিন তিন-চারশ আসন ফাঁকা রেখেই চলছে হজ ফ্লাইট। এ অবস্থায় নির্ধারিত সংখ্যক হজ যাত্রী এ বছর হজে যেতে পারবেন কি-না, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।
হজ অফিস বলছে, যেসব হজ এজেন্সি টিকেট সংগ্রহ করেনি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর হজ এজেন্সিগুলোর সংগঠন হাব বলছে, টিকেটের টাকা বাংলাদেশ বিমান অগ্রিম নিয়ে রাখলে পরিস্থিতি এমন হতো না। গত ৪ আগস্ট থেকে হজ ফ্লাইট শুরুর পর যাত্রী সংকটে বাতিল হয় বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের অন্তত ২০ হজ ফ্লাইট। এরপর নানামুখী উদ্যোগে নতুন করে আর কোনো হজ ফ্লাইট বাতিল না হলেও প্রতিদিন গড়ে খালি যেতে থাকে ২ থেকে ৩শ’ আসন।
বাংলাদেশ বিমানের যাত্রী তালিকায় দেখা যায়, গত শনিবার ২টি হজ ফ্লাইটে খালি গেছে ১২৫টি আসন। রোববার ৪টি ফ্লাইটে খালি ছিল ২৭৯টি। আর সোমবার ফাঁকা ৭শ’ সিট। হজ ফ্লাইটের বাকি ৭ দিনে এখনো হজে যাওয়ার অপেক্ষায় প্রায় ৩১ হাজার যাত্রী। শতশত সিট খালি যাওয়ার ঘটনায় যথাসময়ে সকল হজ যাত্রী পরিবহন নিয়ে সংশয়ে হজ অফিসসহ সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, অনুরোধে কাজ না হওয়ায় এবার যথাসময়ে যেসব হজ এজেন্সি টিকেট সংগ্রহ করেনি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে হজ কর্তৃপক্ষ। এ বছর হজে যাচ্ছেন ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ জন। হজ ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর। এর আগে ভিসা জটিলতায় বুকিং দিয়েও টিকেট সংগ্রহ করতে না পারার কথা বললেও এখন হজ এজেন্সিগুলোরই দায় দেখছেন খোদ হাব সভাপতি। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি