শাওন মাহমুদ
একাত্তরের ঘাতক মীর কাসেমের ফাঁসির রায় বহালের খবরটি এমন একটি দিনে পেলাম, যেদিন আমার বাবা শহীদ আলতাফ মাহমুদের অন্তর্ধানের দিন। একাত্তরের এই দিনেই বাবাকে ঘাতকেরা ধরে নিয়ে গিয়েছিল। এই দিনটি আমার জন্য, আমাদের জন্য একটি বেদনার দিন। কষ্টের দিন।
এই দিনে এমন একটি খুশির সংবাদ পেলাম, যা দুঃখের মধ্যেও ভালোলাগার অনুভূতি এনে দিয়েছে। মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায় বহালÑ আমার বাবাদের জন্য উৎসর্গ করছে বাংলাদেশ। এটা তো কষ্টের মধ্যে অনেক আনন্দের। অনেক খুশির সংবাদ।
মীর কাসেম আলী একজন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী। এটা আমরা সবাই জানি। বাংলাদেশ জানে। অথচ চরম সত্যকে মিথ্যা করার জন্য, যুদ্ধাপরাধের বিচার থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য কত চেষ্টাই না করেছে এই মানুষটি। তার দল জামায়াত। পুঁজিবাদের যে আগ্রাসণ পৃথিবীতে তার বিশাল একটি দৃষ্টান্ত হয়ে রইল এই রায়। বাংলাদেশ তো বটে, গোটা দুনিয়ার জন্যও একই কথা প্রযোজ্য। এত টাকা, এত লবিং করেও নিজেকে বাঁচাতে ব্যর্থ হয়েছে একাত্তরের এই ঘাতক। যা সত্য, যেটা সত্য তা কোনোদিনই ধামাচাপা দিয়ে রাখা যায় না। মিথ্যা গল্প বানানো যায় না। সত্যের সঙ্গে, রাজাকারদের সঙ্গে বাংলাদেশ কখনো সমঝোতা করেনি, করবেও না কোনোদিন। জয় একাত্তরেরই হবে, জয় লাখো শহীদেরই হবে, জয় এই বাংলাদেশেরই হবে। জয় বাংলা।
পরিচিতি : শহীদ আলতাফ মাহমুদের মেয়ে
সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে মতামতটি লিখেছেন আশিক রহমান / সম্পাদনা: জব্বার হোসেন