ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী
মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায় বহাল হবে, এটাই তো স্বাভাবিক। যুদ্ধাপরাধ থেকে বাঁচার জন্য, এই রায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার তো ওদের কোনো যুক্তি নেই। এরা তো মানুষ না। নিজেরা অমানুষ বলে বহুদিন ধরে মানুষের কাছে ঘৃণার পাত্র। এরা একাত্তরের ঘাতক, অথচ এরাই সমাজে বিত্ত-বৈভবের মালিক। এরা এখন সমাজের নানা জায়গায় সামাজিক অবস্থান দৃঢ় করেছে। সেটা নানাভাবে। অর্থনৈতিক ভিত্তি এদের এতই বেশি যে, সমাজকে প্রভাবিত করছে প্রতিনিয়তই। সমাজে প্রভাব-প্রতিপত্তি তৈরি করেছে। ঘাতকের আইনের মাধ্যমে সাজা নিশ্চিত করা যেমন জরুরি, গুরুত্বপূর্ণ কাজ, তেমনি এদের সামাজিক, আর্থিক শক্তিকে ভেঙে দিতে হবে। সবদিক থেকে এদের কোণঠাসা করতে হবে।
আমরা জানি, এদের কুকর্ম সম্পর্কে। কী কী অপরাধ এরা করেছে একাত্তরে। এদের তো মানুষ ঘৃণা করে। তারপরও এরা বেঁচে থাকার চেষ্টা করে কী করে? কেন চেষ্টা করে? এদের তো বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই। আত্মহত্যা করা উচিত। এই অপরাধীদের সারা পৃথিবীর মানুষও ঘৃণা করে। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা চাই, এই দেশের মানুষ চায় একাত্তরের ঘাতকদের যত দ্রুত সম্ভব সমূলে উৎপাটন। ঘাতক মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায়ও বহাল থাকা আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি। এখন যত দ্রুত সম্ভব এই রায় বাস্তবায়ন করা হোক।
পরিচিতি : মুক্তিযোদ্ধা ও ভাস্কর
সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে মতামতটি লিখেছেন আশিক রহমান / সম্পাদনা: জব্বার হোসেন