জাপা ও পাঁচ বাম দলের সন্তোষ
রফিক আহমেদ: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদ-াদেশ পাওয়া আলবদর নেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায় রিভিউতে বহাল থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টি ও পাঁচ বাম দলের শীর্ষ নেতারা।
গতকাল মঙ্গলবার আলাপকালে এবং বিবৃতিতে তারা এ কথা বলেন।
শ্রম ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আলবদর নেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বহাল থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করছি। এ রায়ে দেশের জনগণের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।’
সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ এক যৌথ বিবৃতিতে এ রায় দ্রুত কার্যকর এবং অবিলম্বে যুদ্ধাপরাধী সংগঠন জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, ‘মীর কাসেম আলী একাত্তরে মানবতাবিরোধী জঘন্য অপরাধের সঙ্গেই শুধু যুক্ত ছিলেন না, তিনি ছিলেন আলবদর বাহিনী তথা যুদ্ধাপরাধীদের নেতা। স্বাধীনতার পরও তিনি যুদ্ধাপরাধীদের নেতা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে নানা তৎপরতা চালিয়েছেন।’
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেন, ‘এ রায়ে দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। অন্যান্য গণহত্যাকারীদেরও বিচার করতে হবে।’
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি শরীফ নূরুল আম্বিয়া বলেন, ‘আলবদর নেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বহাল বিলম্ব হওয়ায় জনগণের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।’ তিনি অবিলম্বে জামায়াত নিষিদ্ধের দাবি জানান।
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু বলেন, ‘একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযুক্ত আলবদর ও আলশামস বাহিনী তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে। তারা মুক্তিযুদ্ধকে অসম্মান করেছে। আরও আগে তাদের ফাঁসি হওয়া দরকার ছিল। পাশাপাশি বুদ্ধিজীবী হত্যার নেতৃত্বকারী দল জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা দরকার।’
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘জামায়াত নেতাদের মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধের বিচার আরও আগে হওয়া উচিত ছিল। বিভিন্ন সরকারের উদাসীনতার কারণে দীর্ঘ সময় লেগেছে।’ সম্পাদনা: মোরশেদ