খুশি কবির
সমাজে নারীরা এখনো নানারকম হয়রানি, আক্রমণের শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়তই। এখানে নারীদের ওপর পুরুষের
নিপীড়ন চলছেÑ তা শিশু, কিশোরী, তরুণী, গৃহবধূ কিংবা চাকরিজীবী হোক। কিন্তু নিপীড়কের বিরুদ্ধে সমাজ বা রাষ্ট্র কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। পুলিশ-প্রশাসনও যথাসময়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। এমন ঘটনা একের পর এক ঘটে চলেছেই। শুধু স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়া কম বয়সী মেয়েরাই নয়Ñ বাড়িতে গৃহবধূ, চাকরিজীবী নারীও পুরুষকর্তৃক যৌন হয়রানি, নিপীড়ন ও হত্যার শিকার হতে দেখা যায়। এখানে নারীকে মানুষ হিসেবে দেখা হয় না বললেই চলে।
সমাজে কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করা আব্যশিক কর্তব্য। এখানে অপরাধীরা অনেক সময়ই পার পেয়ে যায়। যার কারণে তাদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা বেড়েছে। অপরাধীদের ব্যাপারে সিরিয়াস হওয়া উচিত। রিসার মতো আর কাউকে যেন এমন অকালে মৃত্যুবরণ না করতে হয়, সে ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
আমাদের সমাজে দৃষ্টিভঙ্গির সমস্যা রয়েছে। নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিগত একটা অসুস্থ মানসিকতা আছে। সব পুরুষ না। নারীরাও এই সমাজের, দেশের ও রাষ্ট্রের নাগরিক। নারী-পুরুষ সবারই সমান অধিকার সমাজ ও রাষ্ট্রে। যতদিন না আমাদের পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার পরিবর্তন হবে, ততদিন নারীর প্রতি এমন নিপীড়ন, নিগ্রহ থামবে না।
পরিচিতি : মানবাধিকারকর্মী
মতামত গ্রহণ : তানভীন ফাহাদ
সম্পাদনা: জব্বার হোসেন