ছেলে হত্যার দায়ে বাবা ও সৎ মায়ের মৃত্যুদ-
নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরে এক বছর আগে ছেলেকে হত্যার দায়ে বাবা ও সৎ মাকে মৃত্যুদ- দিয়েছে আদালত। নাটোরের জেলা ও দায়রা জজ রেজাউল করিম বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন। দ-প্রাপ্তরা হলেন বড়াইগ্রাম উপজেলার কামারদহ গ্রামের আছির উদ্দিনের ছেলে এমদাদুল হক মিলন (৩৭) ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী নাহিদা বেগম (২৪)। রায় ঘোষণার সময় এমদাদুল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আর নাহিদা পলাতক। এ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম জানান, বড়াইগ্রাম উপজেলার শ্রীখ-ি গ্রামের আবুল বাসারের মেয়ে কুলসুমা বেগমের সঙ্গে ২০০৩ সালে এমদাদুলের বিয়ে হয়।
‘তাদের সন্তান ইয়াছিন আরাফাত ওরফে ইমনের জন্মের পর থেকে এমদাদুল তার স্ত্রী কুলসুমাকে মারধর করতেন। এক পর্যায়ে ২০১৩ সালে ছেলেকে রেখে কুলসুমকে বাড়ি থেকে বের করে দেন তিনি। কুলসুমকে বাড়ি ছাড়া করার পর দ্বিতীয় স্ত্রী নাহিদা বেগমকে নিয়ে সংসার করে আসছিলেন এমদাদুল। ২০১৫ সালের ২৭ আগস্ট কুলসুম খবর পান, তার ছেলে ইমনের মৃত্যৃ হয়েছে। ‘পরে কুলসুমা ওই বাড়িতে গিয়ে জানতে পারেন, এমদাদুল ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী নাহিদা মিলে ইমনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে।’
এরপর এমদাদুল ও নাহিদাকে আসামি করে বড়াইগ্রাম থানায় মামলা করেন কুলসুমা। তদন্ত শেষে বড়াইগ্রাম থানার এসআই মাসুদ করিম ওই বছরের ১২ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে কুলসুমা বেগম বলেন, নাহিদা বেগমকে গ্রেপ্তার করে রায় কার্যকর করা হলে তিনি শান্তি পাবেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন তারা। সম্পাদনা : তারেক