সিঙ্গুরে জমি অধিগ্রহণ অবৈধ ছিল : কলকাতা হাইকোর্ট
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গের সিঙ্গুরে জমি অধিগ্রহণ সম্পূর্ণ অবৈধ ছিল বলে জানিয়ে দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। দেশটির বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী টাটাকে গাড়ি কারখানা করার জন্য ২০০৬ সালে তৎকালীন সিপিএম সরকার প্রবল আন্দোলন উপেক্ষা করে ওই জমি অধিগ্রহণ করেছিল। আনন্দবাজার
দীর্ঘ ১০ বছর পর সিঙ্গুর মামলার নিষ্পত্তি হল। এই রায়কে মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বড় বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। রায়ে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, আগামী ১২ সপ্তাহের মধ্যে কৃষকদের হাতে ফিরিয়ে দিতে হবে অধিগ্রহণ করা জমি।
২০০৬ সালে টাটা গোষ্ঠীর ন্যানো গাড়ি তৈরির কারখানা গড়তে সিঙ্গুরে প্রায় এক হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করে তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সরকার। কৃষকের জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলেছিল তৎকালীন বিরোধী দলগুলো।
ক্ষমতায় আসার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিঙ্গুরের কৃষকদের জমি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বিধানসভায় আইন পাশ করান। কিন্তু সে আইনকে কলকাতা হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করে টাটা। লড়াই গিয়ে পৌঁছে সুপ্রিম কোর্টে। ২০০৬ সালে জমি অধিগ্রহণ হওয়ার ১০ বছর পর বুধবার সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ঘোষণা করল, বামফ্রন্ট সরকারের তত্ত্বাবধানে হওয়া সেই অধিগ্রহণ অবৈধ ছিল। সে সময় যে জমি আইন কার্যকর ছিল, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সরকার সেই আইন মানেনি বলে সুপ্রিম কোর্ট মত প্রকাশ করেছে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, জমি দেয়ার বিনিময়ে যারা ক্ষতিপূরণ নিয়েছিলেন, তাদেরকেও জমিও ফেরত দিতে হবে। এর জন্য সে সময় নেয়া অর্থ ফেরত দিতে হবে না। কারণ গত ১০ বছর জমি তারা ভোগ করেননি। যে অর্থ তারা নিয়েছিলেন, তাকে গত ১০ বছর জমি ভোগ করতে না পারার ক্ষতিপূরণ হিসেবেই দেখা হবে। যে অনিচ্ছুক কৃষকরা সে সময় অর্থ নেননি, এ বার জমির সঙ্গে তাদের সেই ক্ষতিপূরণও দিতে হবে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ