খালেদা জিয়াকে অবসরে পাঠান : বিএনপিকে হাছান মাহমুদ
দীপক চৌধুরী: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারণেই বিএনপি এখন মুমূর্ষু অবস্থায় আছে। তার জীবনের পাতায় পাতায় ভুল। সম্প্রতি রামপাল নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটাও ছিল ভুল। দলের নেতাকর্মীদের উচিত তাকে এখন অবসরে পাঠানো।
গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের ঢাকা মহানগর শাখা আয়োজিত সমাবেশে এ মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ। যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর ফাঁসির দ- বহাল রাখার প্রতিবাদে জামায়াতের ডাকা হরতালের বিরুদ্ধে এ সমাবেশ করা হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাছান মাহমুদ বলেন, হরতালকে বিএনপি-জামায়াত কৌতুকে পরিণত করেছেÑএমন দাবি করে হাছান মাহমুদ আরও বলেন, গণতন্ত্রে হরতালকে বলা হয় প্রতিবাদের সর্বোচ্চ ভাষা। কিন্তু তারা (বিএনপি-জামায়াত) প্রতিবাদের এ ভাষাকে নষ্ট করে ফেলেছে। দেশের মানুষ পত্রিকা খুলে জানতে পারছে যে হরতাল ডাকা হয়েছে। রাস্তাঘাটের অবস্থা দেখে হরতাল বোঝার উপায় নেই। হরতাল আহ্বানকারীদের দুরবীন দিয়েও খুঁজে পাওয়া যায় না।
খালেদা জিয়ার ভুল নেতৃত্বের জন্যই বিএনপির আজ এই দৈন্যদশা। বিএনপির নেতা-কর্মীদের প্রতি আমার অনুরোধ, দয়া করে আপনারা এ ভুল নেতৃত্বকে অবসরে পাঠান। বিএনপি ভুল নেতৃত্ব থেকে মুক্তি পাক, একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক দল হিসেবে থাকুক, এটা আমরাও দেখতে চাই।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার জন্ম তারিখ ভুল। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের ক্যান্টনমেন্টে তার থাকাটাও ছিল ভুল। গত নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করেও ভুল করেছেন। আর সর্বশেষ কয়েক দিন আগে রামপাল নিয়ে তিনি যে বক্তব্য রেখেছিলেন, সেটাও ছিল ভুল। ভুল, অসত্য তথ্য দিয়ে তিনি জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়া অনেক ‘অনুনয়-বিনয়’ করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সঙ্গে দেখা করেছিলেন। নতুন নির্বাচন দিতে সরকারকে বলার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তিনি অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু জন কেরি সফর শেষ করে যাওয়ার সময় বলে গিয়েছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণে বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সঠিক এবং সমৃদ্ধির পথেই এগোচ্ছে। এতেই বোঝা যায়, খালেদা জিয়ার কান্নাকাটি কোনো কাজে আসেনি। যারা নির্বাচনের জন্য বিদেশিদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন, তারাও এখন বুঝে গেছেন, সাংবিধানিকভাবে ২০১৯ সালে দেশে নির্বাচন হবে। সম্পাদনা: মোরশেদ