জঙ্গি তামিমের আধ্যাত্মিক গুরু কাশেম গোয়েন্দাজালে
বিপ্লব বিশ্বাস: এবার গুলশান ও শোলাকিয়ায় হামলার মাস্টারমাইন্ড তামিম আহমেদ চৌধুরীর আধ্যাত্মিক গুরু শায়খ আবুল কাশেমের সন্ধান পেয়েছে গোয়েন্দারা। তাকে গ্রেফতার করতে পারলে নব্য জেএমবি কোণঠাসা হয়ে পড়বে। কারণ, এই কাশেমের ইন্ধন ও প্ররোচনায় তামিম চৌধুরী জঙ্গিতে উদ্বুদ্ধ হয়।
গোয়েন্দারা জানান, গ্রেফতার এড়াতে এক স্থানে বেশি সময় অবস্থান করছেন না কাশেম। তবে তাকে গ্রেফতারে গোয়েন্দারা সব ধরনের চেষ্টা করছে। কাশেম যেন দেশত্যাগ করতে না পারে সেজন্য নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, তদন্তে যাদের বিষয়ে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। নব্য জেএমবি দমনে যা করণীয় তাই করা হবে। হ্যালো অ্যাপসের মাধ্যমে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তারা পেয়েছেন, যা তদন্ত ও অভিযান সংক্রান্ত কাজে আসবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম অনানুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে বলেন, জঙ্গি হামলার ঘটনা তদন্তে ৮/১০ জনের নাম এসেছে। তারা মাস্টারমাইন্ড পর্যায়ের না, তবে তারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিভিন্ন পর্যায়ে জঙ্গি কর্মকা-ে সহায়তা করে আসছে। তাদের মধ্যে ৪/৫ জন ইতোমধ্যে গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, তিন বছর আগে কাশেম জেএমবিতে যুক্ত হয়। এরপর তার নেতৃত্বে নব্য জেএমবি সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করে। বিভিন্ন জেলায় সফর করে সে জঙ্গিদের দীক্ষা দেয়। নিজেকে আধ্যাত্মিক নেতা বলেও পরিচয় দেয় জঙ্গি সদস্যদের কাছে। তার হাত ধরেই তামিম সামরিক প্রশিক্ষণ নেয়। আবুল কাশেম ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমাহামলা পরিকল্পনাকারীদের একজন। ত্রিশালে জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জড়িত হিসেবে তার নাম আসে বলেও জানায় সূত্রটি। কাশেমকে জঙ্গি তৎপরতার কাজে মধ্যপ্রাচ্য থেকে নানাভাবে সহায়তা দিয়েছে আরেক জঙ্গি। এজন্য জঙ্গিদের কাছে কথিত আধ্যাত্মিক নেতা কাশেম এখন পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানের মুখে মধ্যপ্রাচ্যে পালানোর চেষ্টা করছে। আবুল কাশেম ছিল শায়খ আবদুর রহমানের গুরুত্বপূর্ণ এক সঙ্গী। সম্পাদনা: মোরশেদ