নিখোঁজ ছেলেকে ছাড়া সিদ্ধান্ত নেবেন না মীর কাসেমধ
মাসুদ আলম: মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দ-প্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেমের সঙ্গে দেখা করে তার স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন বলেন, তাদের ‘তুলে নেওয়া’ ছেলেকে না পাওয়া পর্যন্ত প্রাণভিক্ষার আবেদন নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত তারা দিতে পারছেন না।
দুই মেয়েÑ সুমাইয়া রাবেয়া ও তাহেরা তাসনিম, পুত্রবধূ শাহেদা তাহমিদা ও তাহমিনা আক্তার, ভাতিজা হাসান জামাল এবং তিন শিশুকে নিয়ে গতকাল বুধবার বেলা আড়াইটায় কাশিমপুর কারাগারে মীর কাসেমকে দেখতে যান আয়েশা। প্রায় দুই ঘণ্টা পর বিকাল পৌনে ৪টার দিকে কারাগার থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
কাসেমপতœী বলেন, ২২ দিন আগে সাদা পোশাকধারী লোকজন আমাদের ছেলে ব্যারিস্টার আহম্মেদ বিন কাসেমকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে গেছে। সে শুধু আমাদের ছেলেই নয়, মীর কাসেম আলীর মামলার আইনজীবীও। পারিবারিক যেকোনো সিদ্ধান্তে পরামর্শের জন্য পরিবারের লোক হিসেবে তাকে প্রয়োজন। আমরা সাংবাদিকদের মাধ্যমে সরকারের কাছে আগে আমাদের ছেলেকে চাই। তাকে না পাওয়া পর্যন্ত আমরা প্রাণভিক্ষা বা অন্য কোনো বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারছি না। এরপর আর কোনো কথা না বলে অ্যাম্বুলেন্সে চড়ে চলে যান মীর কাসেমের পরিবারের সদস্যরা।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক বলেন, পরিবারের সদস্যরা প্রায় দুই ঘণ্টা মীর কাসেমের সঙ্গে কথা বলেছেন।
সকালে মীর কাসেমকে তার রিভিউ খারিজের রায় পড়ে শোনায় কারা কর্তৃপক্ষ। কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনা প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি নাÑ সে সিদ্ধান্ত জানাতে তিনি সময় চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেল সুপার। সব বিচারিক প্রক্রিয়ার নিষ্পত্তি হওয়ায় জামায়াতের অর্থ জোগানদাতা হিসেবে পরিচিত মীর কাসেমের সামনে এখন কেবল ক্ষমা প্রার্থনার সুযোগই বাকি। তিনি প্রাণভিক্ষার সুযোগ নিতে চাইলে তার দরখাস্ত রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের পরই দ- কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
সম্পাদনা: হাসিবুল ফারুক চৌধুরী