‘নিখোঁজ ৪০ জন জঙ্গি সম্পৃক্ততায়’
ইসমাঈল হুসাইন ইমু : দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নিখোঁজ হওয়া ৪০ জনের জঙ্গি কর্মকা-ে সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক।
গতকাল বুধবার পুলিশ সদর দফতরে দেশের সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
আইজিপি বলেন, তামিম ও তার সহযোগীরা নিহত হওয়ায় দেশ বড় ধরনের জঙ্গি হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছে। আমরা নিখোঁজদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। তবে নিখোঁজদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ফিরে এসেছে। নিরাপত্তার কারণে তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা যাচ্ছে না। তবে তাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে এবং তাদের সংশোধন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তারা কোনো হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, শুধু জঙ্গিদের সমর্থক ছিল। এছাড়া যারা বিভিন্ন হামলার ঘটনায় জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জে জঙ্গি আস্তানায় হামলার বিষয়ে আইজিপি বলেন, শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে দিনের আলোতে এ অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানের আগে আড়াই ঘণ্টা বাড়িটি ঘেরাও করে রাখা হয়েছিল। অভিযানে গুলশান ও শোলাকিয়া হামলার মাস্টারমাইন্ড তামিমসহ তিন জঙ্গি নিহত হয়। অভিযান শেষে সেখান থেকে অস্ত্রসহ লাশগুলো উদ্ধার করা হয়।
নারায়ণগঞ্জে নিহত তিন জঙ্গির বিস্তারিত পরিচয় জানিয়ে তিনি বলেন, এরা হলো তামিম আহমেদ চৌধুরী। সে সিলেটে বিয়ানিবাজারের স্বাধীমাপুর গ্রামের শফিক আহমেদ চৌধুরীর ছেলে। দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে শফিক আহমেদ সপরিবারে কানাডায় চলে যান। সেখানেই তামিম চৌধুরীর জন্ম হয়। ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর তামিম বাংলাদেশে আসে। সে উত্তরবঙ্গের কয়েকটি এলাকাসহ, টাঙ্গাইল, কুষ্টিয়া, গুলশান, শোলাকিয়া, কল্যাণপুরে জঙ্গি হামলার তত্ত্বাবধানে ছিল। এমনকি এসব হামলার অস্ত্র ও অর্থ জুগিয়েছে তামিম। নিহত অপর জঙ্গির নাম কাজী ফজলে রাব্বী। সে যশোরের কিসমত নোয়াপাড়া গ্রামের কাজী হাবিবুল্লাহর ছেলে। সে যশোর এমএম কলেজে প্রথম বর্ষে পড়াশুনা করতো। চলতি বছরের শুরুতে সে জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেয়। গত ৭ এপ্রিল পরিবরের পক্ষ থেকে সদর থানায় তার নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ অভিযানে নিহত আরেক জঙ্গির নাম তওসিফ হোসেন। সে রাজশাহীর গোয়ালিয়া থানাধীন রামচন্দ্রপুরের ডা. আজমল হোসেনের ছেলে। তারা সপরিবারে ধানমন্ডিতে থাকতো। সে ২০১১ সাল পর্যন্ত মালয়েশিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সে নিখোঁজ হয়। গত ৩ ফেব্রুয়ারি ধানমন্ডি থানায় তার নিখোঁজের বিষয়ে জিডি করে পরিবার। সম্পাদনা : দীপক চৌধুরী