উদ্ভাবনী চর্চায় এগিয়ে জাপান ও দ. কোরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশাল জনগোষ্ঠী আর অর্থনীতির ব্যাপকতায় এশিয়ার দেশগুলোর মধ্েয ভারত ও চীন এগিয়ে থাকলেও উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে উদ্ভাবনী চর্চায় জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার চেয়ে অনেক পিছিয়ে। বিডিনিউজ
সম্প্রতি রয়টার্স এশিয়ার সেরা উদ্ভাবনী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি তালিকা করেছে, যার শীর্ষ দশটিই জাপান ও কোরিয়ার। আর প্রথম ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি উত্তরপূর্ব এশিয়ার এই দু’টি দেশের। বিজ্ঞানের নানা শাখায় উন্নতি, নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও বিশ্ব অর্থনীতি পরিচালনায় নতুন ধারণা নিয়ে কাজ করছে- এশিয়ার এমন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়েই এই তালিকা। এশিয়ার সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রম নিরীক্ষা করে নয়টি দেশের ৭৫টিকে ‘সেরা উদ্ভাবনী বিশ্ববিদ্যালয়’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। তালিকায় চীনের ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও মান বিচারে সেগুলো জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার চেয়ে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার ২০টি করে, অস্ট্রেলিয়ার ছয়টি, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ভারতের দুটি এবং নিউ জিল্যান্ডের একটি বিশ্ববিদ্যালয় তালিকায় স্থান পেয়েছে। তালিকার শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার অ্যাডভান্স ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (কেএআইএসটি)। মৌলিক ও প্রভাবশালী গবেষণার জন্য ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে স্থাপিত হয় এ বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কেএআইএসটির গবেষণাপত্রের ‘পেটেন্ট’কে গুরুত্ব দেয়।
পেটেন্ট হচ্ছে যে কোনো উদ্ভাবনের মালিকানা ঠিক করার প্রক্রিয়া- যার মাধ্যমে সরকার কিংবা অনুমোদিত কর্তৃপক্ষ ওই উদ্ভাবনের আবিষ্কারক, কারা এটি ব্যবহার করতে পারবে, বিক্রি করা যাবে কীনা, কারা কিনতে পারবে- তা নির্ধারণ করে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালিকায় থাকা উত্তরপূর্ব এশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষকরা তাদের উদ্ভাবনের ‘পেটেন্ট’ এর জন্য সবচেয়ে বেশি আবেদন করেছেন। অর্থাৎ, এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মৌলিক গবেষণার চর্চা এশিয়ার অন্য অঞ্চলের চেয়ে অনেক বেশি। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নামে নথিভূক্ত ‘পেটেন্ট’ এর পরিমাণ তালিকার অন্য সাতটি দেশের সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিগুণেরও বেশি। তালিকায় দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়। ১৮৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আছে ১১টি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। জনসন অ্যান্ড জনসন ও ফুজি ফিল্ম করপোরেশনের মতো খ্যাতনামা ২০০ প্রতিষ্ঠান এ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অংশীদার। তালিকার ১১তম স্থানে আছে সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। আর চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এগিয়ে ইউনিভার্সিটি অফ সিংহুয়া। ৪৫ হাজার শিক্ষার্থীর এ বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থান তালিকার ১৩ নম্বরে। শীর্ষ ২০-এ থাকা চীনের আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয় পিকিং ইউনিভার্সিটি, তালিকায় এর অবস্থান ১৬ নম্বরে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ