ঢাকা মেডিকেলের সিটি স্ক্যান ও এমআরআই মেশিন একমাস বিকল
আমিনুর রহমান তাজ: গত একমাস ধরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সিটি স্ক্যান ও এমআরআই মেশিন বিকল পড়ে আছে। লাশকাটা ঘরের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র ও মরচুয়ারির ফ্রিজও বিকল। এসব মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। চিঠি চালাচালিই সার। হাসপাতালের কর্মচারীরা জানিয়েছেন, প্রতিদিন গড়ে ১৪০ থেকে ১৬০ জন রোগী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিটি স্ক্যান করাতে আসেন। এমআরআই করাতে আসেন গড়ে ৬০ থেকে ৭০ জন রোগী।
গত একমাস ধরে ইমেজিং বিভাগে সিটি স্ক্যান মেশিন নষ্ট থাকায় রোগীরা সহজলভ্যে পরীক্ষা নীরিক্ষা করাতে পারছেন না। মাত্র ২ হাজার টাকায় রোগীরা পরীক্ষার সুবিধাটি পেয়ে থাকেন। মেশিন নষ্ট থাকায় তাদের বেসরকারি প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যেয়ে উচ্চ মূল্যে সিটি স্ক্যান করাতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে তাদের ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে।
একই অবস্থা এমআরআই মেশিনের ক্ষেত্রেও। সেখানে রোগীরা গত একমাস ধরে পরীক্ষাটি করাতে পারছেন না। প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১২ জন রোগী এমআরআই করাতে আসেন। এখন ঢামেক হাসপাতালের চেয়ে দ্বিগুণ মূল্যে পরীক্ষাটি বাইরের প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে করাতে হচ্ছে তাদের।
ইমেজিং বিভাগের একজন টেকনিশিয়ান পরিচয় গোপন রাখার শর্তে জানান, দুটো মেশিন নষ্ট হওয়ার বিষয়টি বিভাগীয় প্রধানদের জানানো হয়েছে। বিভাগীয় প্রধান হাসপাতাল পরিচালককে দুটো মেশিন মেরামত করে দেওয়ার কথা বলেছেন। আজও তা মেরামতের উদ্যোগ না নেয়ায় রোগীরা ভোগান্তি পোহাচ্ছে।
একই চিত্র ঢাকা মেডিকেল কলেজ ফরেনসিক বিভাগের লাশকাটা ঘরের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রেরও। ৩টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রই খারাপ। এর পাশাপাশি মরচুয়ারির ৪টি ফ্রিজই বিকল হয়ে পড়েছে। ফলে মরচুয়ারির ৪টি ফ্রিজই বিকল। এখানে ৯ জন জঙ্গি ও ৪ জন বিদেশির লাশ রয়েছে। ফরেনসিক বিভাগের কর্মচারী সেন্দোর জানান, ফ্রিজ যেভাবে ঠান্ডা থাকার কথা, সেভাবে ঠান্ডা থাকছে না। ফলে লাশ সংরক্ষণে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এই বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ফরেনসিক বিভাগের পক্ষ থেকে চিঠি চালাচালি করা হলেও তা মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম