অনির্বাণ বড়ুয়া : বুরকিনির বিষয়ে ফ্রাঞ্চের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক আদালতের রায় উপেক্ষা করেই কিছু কিছু শহরে এখনও পোশাকটির ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। বুরনিনি বিতর্ক এতটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে যে, পুরো ফ্রান্সের রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গন তো বটেই বিশ্ব সম্প্রদায়ও বিষয়টি খুবই গুরুত্ব সহকারে দেখছে। সিএনএন বুরকিনি বিষয়ে সাম্প্রতিক প্রতিবেদনকে ওয়েবসাইটে প্রথম পাতা জুড়ে প্রচার করেছে।
ফ্রান্সের অন্ততঃ ৩০টি শহরে বুরকিনি নিষিদ্ধ করা হলে গত শুক্রবার ফ্রান্সের আদালত রুল জারি করে ‘মেয়রদের বুরকিনির ওপর নিশেধাজ্ঞা আরোপ করার কোনও অধিকার নেই’। আদালতের এমন কড়া রুল জারি করার পরেও কিছু কিছু মেয়র নিজের গতিতেই চলছে। কগোলিনের মেয়র মার্ক এতিয়েনে ল্যানশেড বলেন, ‘যদি আমরা যেভাবে জীবনযাপন করি সেভাবে করতে না পারো তাহলে এসো না’।
তিনি আরও বলেন, ‘তোমাদেরকে যে দেশ গ্রহণ করেছে সেই দেশ যেভাবে আচরণ করে তাদের সঙ্গে সংহতিপূর্ণ আচরণ করতে হবে। এটাই শেষ কথা। তুমি যদি রোমে যাও রোমের মতো করেই আচরণ করতে হবে’।
এরপর সৌদি আরবের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘সৌদি আরব গিয়ে উলঙ্গ ঘুরে বেড়াও, এরপর দেখো, তোমার কী হয়’।
বুরকিনি হচ্ছে এমন একটি সাঁতারের পোশাক যেটি পরে মুসলিম নারীরা সৈকতে যায়। সেটি পরলে মুখ, হাত, পা ছাড়া আর কিছুই দেখা যায় না। পোশাকটির নকশাকার পোশাকটিকে নারীদের ঘরে বাইরে আনতে তৈরি করেছেন বলে দাবি করলেও ফ্রান্সের কিছু কিছু শহরের মেয়ররা এই পোশাকের মধ্যে নারীদের ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ মনে করছেন।
সাম্প্রতিক আক্রমণগুলোর পরে ফ্রান্সের বিভিন্ন শহরে মৌলবাদী ইসলামের প্রতি জবাব হিসেবে বুরকিনি নিষিদ্ধ করা হয়। কিছুদিন আগে ফ্রাঞ্চের পুলিশ এক মুসলমান নারীর বুরকিনি খুলে ফেলার ছবি প্রকাশিত হলে পৃথিবীব্যাপি ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।
সবাই বিরুদ্ধে থাকলেও এর পক্ষে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা মেয়ররা পাচ্ছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল ভ্যালেস ও সাবেক রাষ্ট্রপতি নিকোলাস সারকোজিকে।
ম্যানুয়েল বলেন, এটা দাসত্বের প্রতীক। সারকোজি বিষয়টি উল্লেখ করেন, এটি ‘উষ্কানিমূলক’। সম্পাদনা : রিকু আমির