৬০ বছর পর জাপানের সরকারি নথি প্রকাশ তাইওয়ানে বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজীর মৃত্যু
প্রিয়াংকা আচার্য্য : নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু ১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট তাইপেতে একটি বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান দাবি করে জাপানের একটি অপ্রকাশিত সরকারি নথি ৬০ বছর পর প্রকাশ করা হয়েছে। সূত্র : দি হিন্দুস্তান টাইমস্, ডেকানক্রনিক্যাল
বোস ফাইলস ডট ইনফো নামে যুক্তরাজ্যের একটি ওয়েবসাইটে বৃহস্পতিবার নেতাজীর মৃত্যুর প্রমাণস্বরূপ জাপান সরকারের অপ্রকাশিত ওই নথিটি প্রকাশ করে।
‘প্রয়াত সুভাষ চন্দ্র বসুর মৃত্যুর কারণ এবং অন্যান্য বিষয় তদন্ত’ শিরোনামের এ নথিটি ১৯৫৬ সালের জানুয়ারিতে টোকিওস্থ ভারতীয় দূতাবাসে জমা দেওয়া হয়েছিল কিন্তু আজ পর্যন্ত এটি অপ্রকাশিতই রয়ে গেছে বলে জানিয়েছে ওয়েবসাইটটি।
জাপানি ভাষায় ৭ পাতা এবং ইংরেজি ভাষায় ১০ পাতার এ নথিতে বলা হয় নেতাজী ১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট তাইওয়ানের তাইপে শহরে বিমান দুর্ঘটনার শিকার হন এবং ওইদিন সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। বিস্তারিতভাবে বলা হয়, বিমানটি উড্ডয়ন করে ২০ মিটার উপরে উঠার পর হঠাৎ বাম পাখা ভেঙ্গে গিয়ে এটি ভূপাতিত হয়। এরপর বেলা ৩টায় নেতাজীকে তাইপের একটি সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সন্ধ্যা ৭টায় তার মৃত্যু হয়। এতে আরও বলা হয় যে, ২২ আগস্ট তাইপের পৌর শ্মশানে তাকে দাহ করা হয়।
নেতাজীর নাতনি অনিতা পাফ হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, আমি নির্ভরযোগ্য সূত্রে অবগত আছি যে, জাপানের কূটনৈতিক সংরক্ষণাগার সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ নথিটি প্রকাশ করার পরিকল্পনা করছে। কিন্তু আসল কথাটা হলো টোকিওস্থ ভারতীয় দূতাবাস এবং দিল্লির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ১৯৫৬ সালে দেয়া ঐ নথিটি অদল-বদল করে।
১৯৫৬ সালে নেতাজীর মৃত্যুর বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরু কর্তৃক গঠিত শাহ নাওয়াজ খানের নেতৃত্বাধীন তদন্ত দলও জাপানি সরকারের মতো একই উপসংহারে পৌঁছেছিলেন। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি