আজাদ হোসেন সুমন: দেশের ৬৮ কারাগারের কনডেম সেলগুলোতে প্রায় ১৩শ’ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি ফাঁসির অপেক্ষায় প্রহর গুনছে। এর মধ্যে যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলী আছেন কাসিমপুরের হাইসিকিউরিটি জেলে। আর আলোচিত তরুণী পুলিশ ইন্সপেক্টরের মেয়ে ঐশী আছেন কাসিমপুরস্থ মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে। কারা সদর দফতর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, চাঞ্চল্যকর ফাঁসিগুলোর মধ্যে ১৯৯৩ সালের ২৭ জুলাই সাংবাদিক তনয়া শারমিন রিমার হত্যাকারী মুনিরের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এরপর ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ জঙ্গি নেতা শায়খ আবদুর রহমান ও বাংলাভাইসহ ৬ জঙ্গির ফাঁসি কার্যকর হয়। ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামি কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, লে. কর্নেল সুলতান শাহরিয়ারসহ ৫ আসামির মৃতুদ- কার্যকর হয়। এরপর বিভিন্ন সময়ে যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লা, আলী আহসান মুজাহিদ, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও মতিউর রহমান নিজামী ও কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।
বর্তমানে কাসিমপুর হাই সিকিউরিটি জেলে মীর কাসেম আলীসহ ৬১৬ জন ফাঁসির দ-প্রাপ্ত আসামি রয়েছে। কাসিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে ঐশীসহ ফাঁসির আসামি ১৭ জন। এছাড়াও কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে ৭ জন, কাসিমপুর-১ কারাগারে ৮২ ও কাসিমপুর-২ এ ১২৭ জন ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামি রয়েছে।
ফাঁসির আসামিদের রাখা হয় কনডেম সেলে। যাকে এক কথায় বলা হয় কারাগারের ভিতর আরেক কারাগার। কনডেম সেলগুলো অপেক্ষাকৃত নির্জন এবং সুরক্ষিত দরজা একটাই কিন্তু কোনো জানালা নেই। অন্ধকার প্রকোষ্ঠ। সেখানেই তাদের দিন কাটে। সকাল দুপুর সন্ধ্যা তিন বেলা খাবার দেয়ার সময় দরজা খুলে তাদের খাবার দেওয়া হয়।
কারা সদর দফতরে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে একান্তে আলাপকালে এআইজি (প্রিজন) মুহম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ১ হাজার ৩০৪ ফাঁসির দ-প্রাপ্ত আসামি থাকলেও এদের সকলের ফাঁসি কার্যকর হবে না। কারণ উচ্চ আদালতে অনেকেই আপিল করে খালাস পেয়ে যান। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নি¤œ আদালতের রায়ই উচ্চ আদালতে বহাল থাকে। তিনি আরও বলেন, ৬৮টি কারাগারের মধ্যে ১৩টি কেন্দ্রীয় কারাগার এবং ৫৫টি জেলা কারাগারেই ফাঁসির আসামিরা রয়েছে। উচ্চ আদালতে এদের রায় বহাল থাকলে আইন ও কারাবিধি অনুযায়ী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি