রিশার ঘাতককে নাস্তা খেতে দিয়ে পুলিশে খবর দেন দুলাল
ডেস্ক রিপোর্ট: ঢাকার উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশার হত্যাকারীকে ধরতে র্যাব-পুলিশের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে যখন যৌথ অভিযান চালাচ্ছিল, ঠিক তখনই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সুখবরটি দেন নীলফামারীর মাংস ব্যবসায়ী দুলাল। বাংলা ট্রিবিউন
ডোমার উপজেলার সোনারায় বাজারে মাংসের ব্যবসা করেন দুলাল হোসেন (৪৫)। তার বাড়ি হরিণচড়া ইউনিয়নের হরিণচড়া গ্রামে। তিনি বলেন, বুধবার সকালে বাজারে ওবায়দুলকে উদ্দেশ্যহীন ঘোরাঘুরি করতে দেখে আমার সন্দেহ হয়। পরে তাকে একটি চায়ের দোকানে বসিয়ে নাস্তা খেতে দিয়ে তার পরিচয় জানতে চাই। কিন্তু তার কথাবার্তায় সন্দেহ হওয়ায় ডোমার থানায় খবর দিই। পরে পুলিশ ও র্যাব এসে তাকে ধরে নিয়ে যায়।
দুলাল জানান, পুলিশ গ্রেফতার করার পর জানতে পারি ওবায়দুল একজন খুনি। আরও জানতে পারি যে, রিশাকে ছুরিকাঘাত করে ওবায়দুল ঢাকা থেকে প্রথমে চলে আসে দিনাজপুরে তার বোনের বাড়িতে। সেখানে পুলিশের তাড়া খেয়ে চলে যায় ঠাকুরগাঁওয়ে। সেখান থেকে চলে আসে ডোমারে। ডোমারে তার আত্মীয় বা পরিচিত কেউ নেই। সম্ভবত সে ডোমারের সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল।
নীলফামারীর পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান বলেন, বখাটে ওবায়দুলকে ধরতে র্যাব-পুলিশের সদস্যরা যখন দিনরাত যৌথ অভিযান চালাচ্ছিল, তখন মাংস ব্যবসায়ী দুলাল ওবায়দুলকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দিয়ে প্রমাণ করেছেন, মানুষ এখন সচেতন হয়েছে। সমাজের সব মানুষ যদি দুলালের মতো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সাহায্য করে, তাহলে অপরাধীরা সমাজে লুকানোর জায়গা পাবে না। সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী