প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার অপেক্ষায় বিভক্ত জবি শিক্ষার্থীরা
মীর রওশন আলম, জবি: সাবেক ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জমিতে হল নির্মাণের দাবিতে পৃথক কর্মসূচি পালন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে ধর্মঘট ও মানববন্ধন করেছেন আন্দোলনকারীদের ছাত্রলীগ অংশ। অন্যদিকে, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছেন বাম সমর্থিত অংশ। তবে উভয় অংশের একটিই দাবি- ‘কারাগারের জমিতে হল নির্মাণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা’।
গতকাল সকাল ১০টায় জবি শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন ও ধর্মঘট পালনকালে হল পুনরুদ্ধার ও নির্মাণ কমিটির সদস্য সচিব জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলনেএরপর পৃষ্ঠা ৭, কলাম
(শেষ পৃষ্ঠার পর) নেমেছি। এই দাবিতে জবির সব শিক্ষার্থী এক হয়ে আন্দোলন করা প্রয়োজন। সাবেক কারাগারের জমিতে হল নির্মাণের বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা দেওয়ার আগ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। এসময় তিনি ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লাগাতার ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দেন। এর মধ্যে কোনো ঘোষণা না এলে পরবর্তীতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি। মানববন্ধনে শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।
এদিকে একই দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছেন আন্দোলনকারীদের বাম সমর্থিত অংশ। সকাল ১০টার দিকে শতাধিক শিক্ষার্থী প্রেসক্লাবের সামনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে, বসে এবং শুয়ে অবস্থান নেন।
এসময় আন্দোলনকারীরা বলেন, তাদের দাবি একটাই কারাগারে হল চাই। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট বক্তব্য ছাড়া তারা আন্দোলন থেকে সরবে না।
ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শিলা সাবরিন নাবিলা বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যৌক্তিক। এ আন্দোলনের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন বিচারপতি, শিক্ষক, সাংবাদিকরা একাত্মতা পোষণ করেছেন। তবে এ আন্দোলন ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
শনিবার গোল টেবিল বৈঠক: শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) হলের দাবিতে গোল টেবিল বৈঠকের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীদের বাম সমর্থিত অংশ। তারা জানান, শুক্রবার তারা গণসংযোগ করবেন। শনিবার দেশের বিভিন্ন বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে গোলটেবিল আলোচনায় বসবেন। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি