মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মাসে নিহত ১৭
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জে জুলাই ও আগস্ট মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৭ জন। একই দুর্ঘটনায় নারী ও শিশুসহ গুরুতর আহত হয়েছেন শতাধিক ব্যক্তি। এক সময়ের মরণ ফাঁদ হিসেবে পরিচিত ঢাকা-আরিচা মহসড়কে হুট করেই আবার বেড়ে গেছে সড়ক দুর্ঘটনা।
মহসড়কে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, ফিটসেনবিহীন যানবাহন অবাধে চলাচল এবং চালকদের বেপোরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর জন্যেই দুর্ঘটনার সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে বলে যানবাহন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অভিমত।
মহাসড়কের শিবালয়ের নবগ্রাম এলাকায় ৭ জুলাই বাসচাপায় নিহত হয় ওই এলাকার মৃদুল হোসেন (২৫)। এর দুইদিন পর জেলার সাটুরিয়া উপজেলার গোলড়ায় বাস ও ট্রাকের সংর্ঘষে উভয় যানবাহনের চালক নিহত হয়। চালকদের নাম শাহীন হোসেন (৪০) ও জাহাঙ্গীর শেখ (৩৫)। ১৪ জুলাই মহাসড়কের মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ভাটবাউরে বাসের চাপায় নিহত হয় বাবুল হোসেন (৩০)। ১৬ জুলাই মহাসড়কের ঘিওর উপজেলার তরা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে পিকআপভ্যানের সংর্ঘষে মা-মেয়েসহ মারা যায় চারজন। নিহতরা হলেনÑ শেফালী বেগম (৫০) তার মেয়ে নারগিস আক্তার (৩০), মিজানুর রহমান (৩০) এবং পরান রাজবংশী (৩৫)।
১৭ জুলাই সদর উপজেলার মুলজান এলাকায় যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে শহিদুল ইসলাম আকাশ (৩০) নিহত হয়। একই দিনে শিবালয়ের টেপড়া এলাকায় বাসের নিচে চাপা পড়ে রাজিবুল ইসলাম (২৬) ও আলমগীর হোসেন (২৫) নামে মারা যায়। সবশেষ ২৫ জুলাই মহাসড়কের সাটুরিয়া উপজেলার নয়াডিঙ্গি এলাকায় নিহত হয় শাহীনুর রহমান (৪০)।
অপরদিকে, আগস্ট মাসের ৪ তারিখ জেলার শিবালয় উপজেলার মহাদেবপুর এলাকায় বাসের চাপায় আব্দুল মান্নান শেখ (৪৫) নিহত হয়। ৬ আগস্ট একই উপজেলার পাটুরিয়া ঘাটের আরসিএল মোড়ে বাসের চাপায় ১৬ বছরের অজ্ঞাতপরিচয় এক পথচারী নিহত হয়। আগস্ট মাসের ৮ তারিখ মধ্যরাতে সদর উপজেলার চরখ- গোলড়ায় এক ব্যক্তি নিহত হয়।
১৩ আগস্ট শিবালয়ের মহাদেবপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আবুল কাশেম (৬০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়। সবশেষ ৩০ আগস্ট একই উপজেলার নতুন ফরিদপুর এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় নিহত হয় আরিফ হোসেন (২৫)।গোলড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল আলম জানান, মহাসড়কে দ্রুতগতিতে পাল্লা দিয়ে যানবাহন চালানোর কারণেই বেশির ভাগ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনারোধে নিয়মিতভাবে বেপোরোয়া যানবাহন ও চালকদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে। সম্পাদনা : তারেক