পশ্চিমবঙ্গ শিল্পে বিনিয়োগ আনতে ইউরোপে মমতা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কলকাতা বিমানবন্দর থেকে শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে এমিরেটস-এর বিমানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতালির রোমের উদ্দেশে রওনা হলেন। দুবাইয়ে দুপুরে পৌঁছনোর ঘণ্টা আড়াই-তিনের মধ্যেই রোমের বিমানে তার ওঠার কথা। রাতেই রোম পৌঁছবেন মুখ্যমন্ত্রী। রোববার ভ্যাটিক্যান সিটি-তে এক অনুষ্ঠানে মাদার টেরেসাকে ‘সন্ত’ বা ‘সেন্ট’ বলে ঘোষণা করা হবে। সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হিসেবেই মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর। আনন্দবাজার
কিন্তু এর বাইরেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরের তাৎপর্য অন্য রকম। রোম থেকে তিনি কিন্তু সরাসরি কলকাতায় ফিরছেন না। রোম থেকে মমতা তিন দিনের সফরে যাবেন জার্মানির মিউনিখে। যে শহর অটোমোবাইল হাব নামে বিশ্বে পরিচিত। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সদর দফতর, নবান্ন সূত্রের খবর, বিশ্বের প্রথম সারির একাধিক অটোমোবাইল সংস্থার শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে মমতার বৈঠক হওয়ার কথা মিউনিখে। বিশ্বের দরবারে নন্দিত ওই সব সংস্থা যাতে পশ্চিমবঙ্গে লগ্নি করে, সেই আহ্বানই মমতা করবেন, কেন তাদের পশ্চিমবঙ্গে লগ্নি করা উচিত, সেটা বোঝাবেন। ওই সব অটোমোবাইল সংস্থার সঙ্গে আগে থেকে কথা বলে রেখেছেন পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। যিনি এক সময়ে ভারতের বণিকসভা ফিকি-র শীর্ষপদে ছিলেন। রাজ্য সরকারের সফরসূচি জানাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী ফিরবেন ১০ সেপ্টেম্বর। মিউনিখে যাবেন বলেই এ বারের ইউরোপ সফর এতটা লম্বা হলো।
মমতাকে নিয়ে শুক্রবার সকালে এমিরেটস-এর বিমান কলকাতা ছেড়ে আকাশে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, মমতা মন্ত্রিসভার এক সদস্য তথা তৃণমূলের এক শীর্ষনেতা বলেন, ‘আপনারা তো আমাদের মুখ্যমন্ত্রী, আমাদের নেত্রীকে চেনেন। উনি শুধু ভ্যাটিক্যানের অনুষ্ঠানে গিয়ে ইউরোপ ঘুরে আসার পক্ষপাতী নন। এই সফরে উনি একটি বিশেষ ‘মিশন’ নিয়ে যাচ্ছেন। মনে হয়, সফর চলাকালীনই পশ্চিমবঙ্গের জন্য ভাল খবর উনি বিদেশ থেকে ঘোষণা করবেন। তেমনই ব্যবস্থা হয়েছে।’
এ বছর মে মাসে বিধানসভা ভোটে বিপুল জয় পেয়ে দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ভ্যাটিকান থেকে আমন্ত্রণ পান মমতা। তার কিছু দিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেন, রোম থেকে মিউনিখ যাবেন তিনি। সেই মতো অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে সামনে রেখে যোগাযোগ করা হয় কয়েকটি অটোমোবাইল সংস্থার সঙ্গে। সিঙ্গুর মামলার রায় বেরোনোর পরেই রাজ্যের জন্য শিল্প আনতে মমতার এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজ্যের শিল্প ও বণিক মহল। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ